‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাসহ সব খুনিকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়া এবং ভারতীয় প্রক্সি রাজনৈতিক দল, মিডিয়া ও সরকারি কর্মকর্তাদের কথিত ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঘোষিত ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচির শুরুতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়েছে আন্দোলনকারীরা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার পর রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ এলাকায় জড়ো হন চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণকারী ঐক্যবদ্ধ মোর্চা ‘জুলাই ঐক্য’-এর নেতাকর্মীরা। কর্মসূচিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা, ডাকসু ও জাকসুর একাধিক নেতা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও স্কুলের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
আরও পড়ুন: অমর একুশে বইমেলা শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি, চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত
সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশের বাধার কারণে লং মার্চ এগোতে না পারায় আন্দোলনকারীরা প্রগতি সরণিতে অবস্থান নেন। এ সময় তারা ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। পাশাপাশি ইনকিলাব মঞ্চের শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিও তোলা হয়।
জুলাই ঐক্যের সংগঠক এবি জুবায়ের বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই ভারতের প্রক্সি শক্তিগুলো নতুন করে বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের ভারত আশ্রয় দিয়েছে। এমনকি শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনার পর ভারতের কিছু মহলে আনন্দ-উল্লাস দেখা গেছে বলেও তিনি দাবি করেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের কোনো ‘নসিহত’শুনতে চায় না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ ২.০-এ কোনো আধিপত্যবাদ আমরা মেনে নেবো না।”
কর্মসূচি থেকে ভারত সরকার ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে আলটিমেটাম দেওয়া হবে জানিয়ে আয়োজকরা বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত খুনিদের দেশে ফিরিয়ে না দিলে পরবর্তী পরিস্থিতির দায় দিল্লি ও সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরকে নিতে হবে।
উল্লেখ্য, চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বুধবার দুপুর ২টা থেকে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রটি নিরাপত্তাজনিত কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।





