পাহাড়ে অনন্য স্বাদের পিঠা ‘ছেছমা’

Shakil
মাসুদ রানা জয়, খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ৩:৫৯ অপরাহ্ন, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, ০৬ অগাস্ট ২০২৫
(no caption)
(no caption)

শীতে খাগড়াছড়িতে পিঠা-পায়েসে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে মারমাদের ‘ছেছমা পিঠা’। পাহাড় ছাপিয়ে সমতলের ভোজন রসিকদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী এ পিঠা।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা রাস্তার ধারে বা পর্যটন কেন্দ্রে ছেছমা পিঠার স্বাদ নেন। ছেছমা পিঠা বিক্রি করে সংসারে বাড়তি আয়ের জোগান দিচ্ছেন মারমা সম্প্রদায়ের নারী ও কিশোরীরা।

আরও পড়ুন: সাদা পাথর রক্ষায় প্রশাসনের ৫ দফা সিদ্ধান্ত

খাগড়াছড়িতে নির্ধারিত কোনো দোকানে মারমা পিঠা না বিক্রি হলেও শীতের মৌসুমজুড়ে রাস্তার ধারে, পর্যটন কেন্দ্রে পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেন মারমা সম্প্রদায়ের নারী ও কিশোরীরা। বিক্রি করেন ছেছমা, কদা মু, কেইন্দা মু, রেপ্রিমুসহ নানান পিঠা।


আরও পড়ুন: ‎পাবনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার

পিঠা মানেই নারীদের শৈল্পিক কাজ। সারাদেশের পিঠার বৈচিত্রতার মাঝে পাহাড়িদের বিভিন্ন পিঠাও জায়গা করে নিয়েছে। পিঠা আর পাহাড়ের নারী যেন পরস্পরের সমর্থাক। শীতের শুরুতেই পারিবারিক কাজ শেষে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সামনে নিয়ে আসে তাদের শৈল্পি সুষ্টি বিভিন্ন স্বাদের পিঠা।

শীতের মৌসুমে ব্যস্ত সড়কের ধারে ও বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে মারমাদের তৈরি বিচিত্র পিঠা পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছেছমা পিঠ। প্রতি পিসের দাম ১০ টাকা।

জনপ্রিয় এ পিঠা তৈরিতে প্রথমে বিন্নি চাল ভিজিয়ে রেখে ঢেঁকিতে মিহি করে গুঁড়া করতে হবে। তারপর তেলের প্রলেপ দেওয়া অ্যালুমিনিয়ামের কড়াইয়ে পরিমাণমতো চালের গুঁড়া ছিটিয়ে দিয়ে কিছু সময় ঢেকে রাখতে হবে। এরপর নামিয়ে নারিকেল ও গুড়মিশ্রিত উপকরণ দিয়ে পাটিসাপ্টার মতো মুড়িয়ে দিলেই তৈরি হবে ভিন্ন স্বাদের ছেছমা পিঠা। তবে আগে থেকে নারিকেল, গুড় বা চিনি দিয়ে লালচে রং করে ভেজে নিতে হয়।


স্থানীয় ছেছমা পিঠা বিক্রেতা পাইছাইন্দা মারমা জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদিন পরিবারের কাজ শেষ করে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত পিঠা বিক্রি করি। প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা আয় হয়। এ আয় দিয়েই চলে পাঁচ সদস্যের সংসার।

আপ্রুমা মারমা নামের আরেকজন বলেন, পিঠা বিক্রির টাকায় ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার খরচের জোগান হচ্ছে। শীতের সময়ে পিঠা বিক্রি করে আমাদের ভালোই লাভ হয়।

খাগড়াছড়িতে ঘুরতে আসা পর্যটক মোহিত খান বলেন, পিঠা অনেক সুস্বাদু। গরম গরম খেতে খুবই ভালো লাগে। একবার খেলেই যে কেউ এর প্রেমে পড়ে যাবে।