নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বাজার এখন আতঙ্কের নাম

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:০৩ অপরাহ্ন, ১৬ মার্চ ২০২৪ | আপডেট: ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, ১৬ মার্চ ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রমজান মাস শুরুর অনেক আগে থেকেই নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির। পণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, যা চরম সীমায় পৌঁছেছে। বাজার এখন নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম। বাড়তি দামের আগুনে পুড়ছে সাধারণ মানুষ। সহনীয় করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও কাজে আসছে না তেমন।

(শনিবার ১৬ মার্চ) রাজধানীর  কাওরান বাজারে দেখা যায়, সরকারের বেধে দেওয়া দামেও মিলছে না খেজুর। সরকার সাধারণ মানের খেজুর ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা বেধে দিলেও বিক্রি হচ্ছে বেশিতে। ভালো মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকায়।

আরও পড়ুন: রাজশাহীতে একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

রমজানে সবচেয়ে বেড়েছে খেজুরের দাম। এ জন্য বিলাসী পণ্যের তকমা দিয়ে ট্যাক্স বাড়ানোকে দায়ী করছে ব্যবসায়ীরা। খেজুরের দাম সরকার বেধে দিলেও মিলছে না সে দামে। বিক্রেতারা জানান, বেশি দামে কেনায় বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।

অন্য দিকে, বাজারে দাপট দেখাচ্ছে লেবু, শসা, বেগুন, মাছ, মাংস ও মুরগী এবং তরমুজও। প্রায় সব সবজির দাম ৫০ টাকা কেজির উপরে হলেও বিক্রেতাদের দাবি কমতির দিকে মূল্য। তবে অস্বস্তির কথা জানাচ্ছে ক্রেতারা। বাজারে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। অতি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরণের বিদেশি ফল।

আরও পড়ুন: ৪০ কেজি গাঁজাসহ বরখাস্ত পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

বিক্রেতারা বলছেন, আপেল বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। কমলা বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। আঙ্গুর বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। আনার ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারভেদে গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির দামও দুই শ’ টাকা কেজির উপরে।

বিক্রেতারা জানান, ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা থেকে ৩৩০ টাকায়। বিক্রেতারা মাছের দাম কমতির দিকে বললেও ক্রেতার কাছে তা চড়া। এ ছাড়া লেবু প্রতি পিস ১০ থেকে ১৫ টাকা হলেও শসার কেজি ৮০ টাকা। পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও কেজি প্রতি দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

বাজার সহনীয় করতে সরকারের কাছে কঠোর ব্যবস্থা চায় সাধারণ মানুষ।