ঈশ্বরদীতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ছাত্রদল কর্মী নিহত
পূর্ববিরোধের জেরে পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রতিপক্ষের গুলিতে সচীন বিশ্বাস সাজু (২২) নামে এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) রাত সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের চররুপপুর (জিগাতলা) উত্তরপাড়া মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সচীন নতুন রূপপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত বিলাত বিশ্বাসের ছোট ছেলে।
উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সুমনের দাবি, নিহত সচীন পাকশী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের কর্মী ও তার সমর্থক ছিলেন।
আরও পড়ুন: অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করলো বিজিবি
ঈশ্বরদী থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশের চলমান 'কর্মবিরতি' কর্মসূচির কারণে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।
স্থানীয়রা জানান, সচীন মঙ্গলবার রাতে জিগাতলা মসজিদের পাশে এক বাড়িতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় পিকনিক করছিলেন। এ সময় সে মুঠোফোনে কথা বলার জন্য মসজিদের সামনে রাস্তায় আসার পরপরই দুর্বৃত্তরা তার মাথায় গুলি করে ও ছুরিকাঘাত করে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: জামালপুরের আলোচিত মনিরুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার
গুলি খেয়ে সচীন সড়কে লুটিয়ে পড়লে সেখানকার লোকজন উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে সচীনকে কারা কি কারণে গুলি করেছে এ বিষয়ে কেউ বিস্তারিত কিছু বলতে পারেনি।
তবে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সুমনের অভিযোগ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানের সমর্থকরা এ হামলার সাথে জড়িত। কারণ হিসেবে তার দাবি, গত ৫ আগস্ট রাতে মেহেদীর সমর্থক সাহাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি রাসেল ও তার লোকজন জিগাতলা এলাকায় এক বাড়িতে ডাকাতি করতে যায়। তাদের বাধা দিয়েছিলেন ছাত্রদল কর্মী সচীন বিশ্বাস সাজু। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে গুলিতে হত্যা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানের সাথে কথা বলতে তার মুঠোফোনে বুধবার সকাল ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।





