একসঙ্গে তিন কন্যার জন্ম দিলেন আলপনা, সুস্থ আছে সবাই

Sanchoy Biswas
নড়াইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:২৬ অপরাহ্ন, ০৪ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৫:৩৫ অপরাহ্ন, ০৪ জুলাই ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় বিয়ের ৩ বছর পর একসঙ্গে ৩ কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আলপনা খানম (২৪) নামের এক গৃহবধূ। আলপনা খানম উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের নোয়াগ্রামের খন্দকার সজীব হাসানের স্ত্রী।

শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে উপজেলার একটি বেসরকারি হাসাপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিনটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন আলপনা। সদ্য ভূমিষ্ঠ তিন কন্যা সন্তানের নাম রাখা হয়েছে  মরিয়ম, ফাতেমা ও খাদিজা।

আরও পড়ুন: ফেসবুকে কমেন্ট করা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত

সজীব খন্দকার ও আলপনা খানম দম্পতির বাড়ি লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রাম গ্রামে। সজীব খন্দকার লোহাগড়া পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ফিল্ড অফিসার পদে কর্মরত আছেন।

হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকালে গর্ভবতী ওই গৃহবধূ অসুস্থ হলে তাকে নেয়া হয় লোহাগড়া উপজেলার বেসরকারি  ক্লিনিক শিকদার হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে। সেখানে তার সব পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে সন্তানদের ঝুঁকির কথা ভেবে নেওয়া হয় অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত। পরে হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ স্বরূপ গোলদার ও এনেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ পান্থ বিশ্বাসের দল অস্ত্রোপচার করেন। তাদের তত্ত্বাবধানে তিন কন্যা সন্তানের জন্ম দেন আলপনা। একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম ও সন্তানেরা সুস্থ দেখে আনন্দিত গৃহবধূর পরিবার।

আরও পড়ুন: বিজিবির হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হলো আহত হাতির চিকিৎসায় গিয়ে গুরুতর আহত ২ চিকিৎসকসহ ৩ জনকে

নবজাতকদের বাবা খন্দকার সজীব বলেন, ‘বিয়ের তিন বছর পর আমাদের ঘরে আল্লাহ তিনটি কন্যা সন্তান দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি এবং আমার পরিবার এতে অনেক খুশি। তাদের আল্লাহ যেন সুস্থ রাখেন আর মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তুলতে পারি, সকলের কাছে সেই দোয়া চাই।’

তাদের নানী সুলতানা বেগম বলেন, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আমার মেয়েকে আল্লাহ তিনটি কন্যা সন্তান দিয়েছেন। আমি তাদের নানী হলেও আমার মা অর্থাৎ শিশুদের বড় মা তাদের নাম রেখেছেন ফাতেমা, খাদিজা ও মরিয়ম।’

শিকদার হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘শুক্রবার সকালে ওই গৃহবধূ  আমাদের এখানে ভর্তি হয়। আল্ট্রাসনোর মাধ্যমে জানতে পারি তিনটি সন্তান রয়েছে গৃহবধূর গর্ভে। আমরা কিছুটা ঝুঁকি অনুভব করলে পরামর্শ দেই খুলনায় নেয়ার জন্য। প্রসূতি মায়ের পরিবার আমাদের চিকিৎসকদের ওপর ভরসা রেখে এই হাসপাতালেই সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য অনুরোধ করেন। পরে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তার তিনটি কন্যা সন্তান হয়েছে। বাচ্চা তিনটি ও তার মা সুস্থ আছেন। হাসপাতাল থেকে রোগীদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে।’

শিকদার হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. স্বরূপ গোলদার  বলেন, ‘প্রথম থেকেই রোগী ফলোআপে ছিল। শুক্রবার সকালে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিনটি কন্যা সন্তান হয়। প্রথম দিকে প্রসূতি মায়ের অবস্থা একটু খারাপ থাকলেও এখন মা ও সন্তানেরা সুস্থ আছেন।’