নরসিংদীতে বাপসার পাল্টাপাল্টি কমিটি, চরম উত্তেজনা

Sadek Ali
আশিকুর রহমান, নরসিংদী
প্রকাশিত: ২:৫২ অপরাহ্ন, ০৬ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১১:২১ পূর্বাহ্ন, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকতা সমিতির (বাপসা) নরসিংদী জেলা শাখার কমিটি ঘোষণা নিয়ে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছেন অপর আরেক গ্রুপ। সভাপতি মোঃ আলতাব হোসেন বলছেন বদলী, পেশীশক্তি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে করা হয়েছে কমিটি। আর আলতাফ হোসেন বলছেন বটতলার কমিটি। এ নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম উত্তেজনা। এতে করে সভাপতি মোঃ আলতাব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক খালেদ মাহমুদ এরমধ্য এ দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। পরে দু’জনই পৃথক পৃথক স্থানে আলাদা কমিটি ঘোষণা করেন।

মোঃ আলতাব হোসেন বাপসা নরসিংদী শাখার বটতলার অস্থায়ী কার্যালয়ে খালেদ মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক রেখে ২১ সদস্যের কার্যনিবাহী কমিটি ঘোষণা করেন। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক খালেদ মাহমুদ মোঃ আলতাব হোসেনকে বাদ দিয়ে চিনিশপুর ইউনিয়ন পরিষদে জুলহাস ভূঁইয়াকে সভাপতি করে নতুন করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন। স্ব-স্ব ঘোষিত কমিটি ঘোষণার পর পরই তাদের দু’জনের মধ্যে দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা ও চরম উত্তেজনা। বিভিন্ন সূত্রে ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সদস্য প্রতিনিধিকে জানান, গত বছরের ২৬ অক্টোবর শতভাগ ইউপি প্রশাসনিক কর্মকতাদের উপস্থিতির মাধ্যমে আনন্দঘন পরিবেশে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে মোঃ আলতাব হোসেন  সভাপতি পদে সর্বোচ্চ ৩০ ভোট পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোঃ জুলহাস মিয়াকে পরাজিত করে সভাপতি নির্বাচিত হন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে খালেদ মাহমুদ ৩১ ভোট পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আলতাফ হোসেনকে পরাজিত করে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে পূর্ণাঙ্গ  কমিটি ঘোষণার জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিলে সমিতির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় নতুন কমিটি গঠনকালে দুই-তিনজন সহ পরাজিত সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেনকে সিনিয়র সহ-সভাপতি করার প্রস্তাব করেন। সর্বসম্মতিক্রমে ওই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়ে আলতাফ হোসেনকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মোঃ জুলহাস উদ্দিন ভূঁইয়াকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত করে জেলা কমিটি ঘোষণাকালে কিছু অসাধু সদস্য চরম বিরোধ ও মতানৈক্য তৈরী করে গ্রুপিং করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে কমিটি বাস্তবায়নে বাঁধার সৃষ্টি করেন। পরে আর কমিটি ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন: রাজশাহীতে একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

মোঃ আলতাব হোসেন বলেন, কিছু অসাধু সদস্য চরম বিরোধ ও মতানৈক্য তৈরী করে গ্রুপিংয়ের চেষ্টা করে। পরে কতিপয় কিছু সদস্যরা আমাকে পাশ কাটিয়ে সাধারণ সদস্যদের মাঝে ভয়ভীতি, বদলী, পেশীশক্তি ব্যবহার করে নিজেরা নিজেরা সভা করে স্বঘোষিত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দাবি করে কমিটি ঘোষণা করেন। তিনি আরও বলেন, কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে স্বচ্ছ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সভাপতিকে বাদ দিয়ে পাল্টা কমিটি ঘোষণা করা অনৈতিক ও সাংগঠনিক রীতিনীতির পরিপন্থী। আমি তাদেরকে এসব অনীহ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি এবং এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবিষয় জানতে খালেদ মাহমুদ গ্রুপের সদস্য আলতাফ হোসেনের ম্যাসেঞ্জরে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ক্ষুদেবার্তায় জানান তিনি জরুরি মিটিংয়ে আছেন পরে কথা হবে বলে জানান। পরে তার সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।