কেন্দুয়ায় ১০ম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী সুমাইয়ার মৃত্যুর বিচার দাবিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইল বাড়ি ফাজিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তারের মৃত্যুর ঘটনায় প্রেমিককে দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে রোয়াইল বাড়ি ফাজিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে মাদরাসাটির শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভের আয়োজন করে। এতে মাদরাসার কয়েকশ শিক্ষার্থীসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন বক্তব্য দেন, সুমাইয়ার চাচা মুসলিম উদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা কাউসার আহমেদ হৃদয়, শিক্ষার্থী হাকিমুল ইসলামসহ মাদরাসার শিক্ষার্থী ও এলাকার লোকজন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নেত্রকোণায় যুবদলের মিলাদ মাহফিল
বক্তারা বলেন, সুমাইয়াকে মিথ্যা প্রলোভণ দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং তাকে মেনে না নিয়ে যারা তাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে, তাদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে। তা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রোয়াইল গ্রামের সাহাব উদ্দিনের মেয়ে ১০ম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তারকে বিয়ের প্রলোভণ দিয়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে একই মাদরাসার এইচএসসি পরীক্ষার্থী স্থানীয় নিলাম্বরখিলা গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে আশরাফুল আলম পূর্ণ। সম্পর্কের সুবাদে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে সুমাইয়াকে অসংখ্যবার ধর্ষক করে পূর্ণ। সম্প্রতি সুমাইয়াকে এড়িয়ে চলতে শুরু করলে সে একপর্যায়ে পূর্ণদের বাড়িতে যায়। এ সময় পূর্ণ সুমাইয়াকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। পরে বাড়িতে ফিরে প্রেমিকের অপমান সইতে না পেরে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে সুমাইয়া। গুরুতর আহত সুমাইয়া পরিবারের লোকজন প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এবং সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায় সুমাইয়া।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে জাফলং থেকে লুট হওয়া ৭ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার
এদিকে স্থানীয়রা ধারণা করছেন, সুমাইয়া তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে এবং আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।