আমিনবাজারে ১২ দিন গ্যাস সংযোগ বন্ধ, চরম ভোগান্তি

Sadek Ali
মো. রফিকুল ইসলাম জিলু , সাভার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:৪৮ অপরাহ্ন, ০৯ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ২:১৩ অপরাহ্ন, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সাভারের আমিনবাজার এলাকার বড়দেশীসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে অন্তত ১০টি গ্রামে গত ১২ দিন  ধরে  গ্যাস বন্ধ হয়ে আছে । এতে রান্না-বান্না থেকে শুরু করে পরিবহন ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে নেমে এসেছে স্থবিরতা। লাকড়ি দিয়ে চুলায় রান্না কিংবা হোটেল-রেস্তোরাঁয় ভরসা করে চলছে অসহায় মানুষের  জীবন।

গ্যাস না থাকায় সবচেয়ে বেশি ভুগছেন নারী ও শিশুরা। বড়দেশী গ্রামের গৃহিণী শাবানা বেগম বলেন, ১২ দিন ধরে গ্যাস নেই, সকাল-বিকেল লাকড়ি কুড়াতে হচ্ছে, রান্না করতে গিয়ে ধোঁয়ায় চোখ জ্বলছে।

আরও পড়ুন: অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করলো বিজিবি

এলাকাবাসী জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে গ্যাস লাইনের একটি স্থানে লিকেজ থেকে আগুন ধরে যায়। এরপরই নিরাপত্তার স্বার্থে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

এক ভুক্তভোগী বলেন, রান্না করতে পারি না, হোটেলে খাওয়া অনেক খরচের। এমন কষ্ট আর কতোদিন ?

আরও পড়ুন: জামালপুরের আলোচিত মনিরুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার

শুধু ঘরোয়া জীবনে নয়, গ্যাস সংকটে থমকে গেছে সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও ছোট ছোট ব্যবসাও। এক সিএনজি স্টেশন ম্যানেজার বলেন, গ্যাস না থাকায় স্টেশন পুরোপুরি বন্ধ। এতে আমাদের যেমন ক্ষতি, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মালিকরাও।

তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বলছে, মেরামত কাজ শুরু হলেও সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। কারণ, লিকেজ স্থানে প্রচুর বালু ও লোডশেডিং-এর কারণে মেশিন চালাতে পারছেন না ঠিকঠাক। এতে কাজ হচ্ছে ধীরগতিতে।

তবে আশার কথা জানালেন তিতাসের এক কর্মকর্তা।

প্রকৌশলী রিফাত আবদুল্লাহ, ব্যবস্থাপক, জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ শাখা, ঢাকা মেট্রো (উত্তর) বলেন, আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কিছুটা দেরি হচ্ছে  বিদ্যুৎ  সর্বরাহ সঠিক ভাবে না থাকায়। তবে আশা করছি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

এদিকে দ্রুত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি যেন না হয় সেই দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।