ঋণখেলাপির মামলা করায় যুবদল নেতার নেতৃত্বে ব্যাংকে হামলা-ভাঙচুর

Sadek Ali
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:৪১ অপরাহ্ন, ০১ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ৬:৪১ পূর্বাহ্ন, ০১ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

 দুই বছর ধরে করা হয়নি ঋণ নবায়ন। ফলে ব্যাংক আইনে ঋণখেলাপির অভিযোগ এনে মামলা করে কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যাংকে হামলা ও ভাঙচুর চালান লোকমান হোসেন নামে স্থানীয় এক যুবদল নেতা। এসময় ব্যাংক কর্মকর্তাদের মারধর করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের পাবনার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা শাখায় এ ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: সাদা পাথর রক্ষায় প্রশাসনের ৫ দফা সিদ্ধান্ত

অভিযুক্ত লোকমান ফৈলজানা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। এছাড়া তিনি ফৈলজানা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক।

ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপক শামসুজ্জামান নয়নকে আহত অবস্থায় পার্শ্ববর্তী আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‎পাবনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ফৈলজানা শাখার মুখ্য কর্মকর্তা এস এম বশির উদ্দিন জানান, ২০১৮ সালে ফৈলজানা শাখা থেকে ৩ লাখ টাকার সিসি ঋণ নেন লোকমান। এই ঋণ প্রতিবছর নবায়ন করতে হয়। কিন্তু গত দুই বছর ধরে তিনি ঋণ নবায়ন করেন না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ ঋণ নবায়ন না করলে ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী তিনি ঋণখেলাপি হিসেবে বিবেচিত হন এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। সেই হিসেবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লোকমান হোসেনের নামে গত ২৫ মে অর্থ ঋণ আদালতে একটি মামলা করে।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৫-২০ জনের একটি দল নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাংকের ফৈলজানা শাখায় গিয়ে হামলা করে অফিস ও টেবিলের গ্লাস ভাঙচুর চালান তিনি। এসময় শাখা ব্যবস্থাপক শামসুজ্জামান ও অন্যান্য কর্মচারীদের মারধর করা হয়। ঘটনার পর স্থানীয়রা এসে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক শামসুজ্জামানকে উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ডিজিএম হেলাল উদ্দিন বলেন, লোকমান হোসেনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ব্যাংক শাখায় প্রবেশ করে। এসময় পূর্বের ঋণ সংক্রান্ত বিষয়ে ম্যানেজার শামসুজ্জামান নয়নের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। পরে ব্যাংকে ভাঙচুর ও কর্মকর্তাদের মারধর করেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত লোকমান হোসেনের সঙ্গে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

লোকমান হোসেনের দলীয় পদবি নিশ্চিত করে চাটমোহর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি এবং ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও হয়েছে। লোকমান যদি অন্যায় করে থাকেন তবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপক মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।