সাংবাদিক ছাত্র-জনতার যৌথ সমাবেশ
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ফ্যাসিস্ট দোসরদের ঢুকতে দেয়া হবে না
সাংবাদিকতার নামে ফ্যাসিস্টদের দখলদারি আর সহ্য করা হবে না। প্রেসক্লাব কোনো বিশেষ দলের অঙ্গসংগঠনের অফিস নয়, এটা সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠান। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে পাওয়া বিপ্লবের চেতনাকে অবমাননা করে কেউ এখানে প্রবেশ করতে পারবে না।’
শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রামে সাংবাদিক-ছাত্র-জনতা সমাবেশে এ হুঁশিয়ারি দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান।
আরও পড়ুন: অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করলো বিজিবি
তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের ব্যর্থতার সুযোগে সাংবাদিকতার কার্ড গলায় ঝুলিয়ে আবার তারা নানা জায়গায় সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। গত সাড়ে ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট চক্র সাংবাদিকতার নাম ব্যবহার করে ব্যবসা ও টেন্ডারবাজি করে অর্থসম্পদের পাহাড় গড়েছে এই ছদ্মবেশী ফ্যাসিস্টরা। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মুখে তারা বিতাড়িত হয়েছে। ধৈর্যের বাধ ভেঙে গেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
সমাবেশে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিল্পী বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতা জীবনের বিনিময়ে যে পরিবর্তন এনেছে, এক বছর না যেতেই আবার রাজপথে নামতে হচ্ছে। তিনি জেলা প্রশাসককে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনাকে আমরা সম্মান করি, তবে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না, যাতে ফ্যাসিস্ট দোসররা আবারও প্রেসক্লাবে প্রবেশের সুযোগ পায়।’
আরও পড়ুন: জামালপুরের আলোচিত মনিরুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার
পুলিশ কমিশনারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘গোপনে আওয়ামী দোসররা মিটিং-মিছিল করছে, আমাদের কাছে সব তথ্য আছে, অথচ আপনারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ইদ্রিস মিয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক রিদুয়ান সিদ্দিকী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী সিয়াম ইলাহি, আবদুর রহমান, সাইফুর রুদ্র, তানিয়া আক্তার ও নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এস কে খোদা তোতন, আলাউদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা এন মো. রিমন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইমরান সিদ্দিক জেকসন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মনির হোসেন, ছাত্রদল নেতা মো. তৌহিদুর রহমান প্রমুখ।





