খাগড়াছড়ি পরিস্থিতি স্বাভাবিক, ৮ দিন পর ১৪৪ প্রত্যাহার
খাগড়াছড়ি জেলার পৌরসভা ও সদর উপজেলা এবং গুইমারা উপজেলায় জারি করা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (৫ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করলো বিজিবি
জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের জারিকৃত আদেশে উল্লেখ করা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রত্যাহারের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে।
যদিও ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকলেও খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও পৌর এলাকায় যানবাহন চলাচল এবং জনজীবন গত কয়েক দিন ধরেই প্রায় স্বাভাবিক ছিল।
আরও পড়ুন: জামালপুরের আলোচিত মনিরুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর (শনিবার) এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে “জুম্ম-ছাত্র জনতা” ব্যানারে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়। সেই অবরোধ চলাকালে পাহাড়ের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে—বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন দুপুর ২টা থেকে খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। একইদিন বিকেল ৩টা থেকে গুইমারা উপজেলাতেও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
পরদিন গুইমারায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় তিনজন নিহত হন, আহত হন একজন মেজরসহ ১৩ সেনাসদস্য এবং বহু পাহাড়ি-বাঙালি।
তবে পরে মেডিকেল রিপোর্টে জানা যায়, অভিযুক্ত ধর্ষণের ঘটনায় কোনো ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ইউপিডিএফ ইচ্ছাকৃতভাবে গুজব ছড়িয়ে পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও সহিংসতা উসকে দেয়।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও ওই সহিংসতার জন্য ইউপিডিএফকেই দায়ী করা হয়।
১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের মাধ্যমে এখন খাগড়াছড়ি জেলার সামগ্রিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পথে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।





