বিএনপির দুই গ্রুপের উত্তেজনা: আলফাডাঙ্গায় ১৪৪ ধারা জারি
আলফাডাঙ্গা উপজেলার পৌরসভার স্কুল, মাঠ ও বাজার এলাকাজুড়ে শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল ইকবাল।
শনিবার আলফাডাঙ্গা আছাদুজ্জামান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির দুই গ্রুপ সমাবেশের ডাক দেয়; যা সংঘর্ষে রুপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল। এরপরই উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করল।
আরও পড়ুন: অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করলো বিজিবি
শুক্রবার জারি করা এক আদেশে ইউএনও বলেন, নির্ধারিত সময়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির জমায়েত, সভা–সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল এবং বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র বা দেশীয় অস্ত্র বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয় আদেশে।
১৪৪ ধারা সংক্রান্ত এই আদেশ ফরিদপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার (এসপি) এবং আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জামালপুরের আলোচিত মনিরুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার
ইউএনও রাসেল ইকবাল বলেন, ‘জননিরাপত্তা অগ্রাধিকার। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবাইকে আইন মানার অনুরোধ করছি।’
জানা গেছে, আগামীকাল শনিবার ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম নাসির এবং শামসুদ্দিন মিয়া ওরফে ঝুনু গ্রুপ একই স্থানে সমাবেশের ডাক দেয়। তাদের এই ঘোষণার পর আলফাডাঙ্গায় ব্যাপক সহিংসতা ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কারণ, এর আগে গত ৭ নভেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা হয়।
ওই দিন সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপির স্থানীয় কার্যালয় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ এবং দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া ৯টির বেশি মোটরসাইকেল আগুনে ভস্মিভূত হয়। যা খন্দকার নাসিরুল ইসলামপন্থী গ্রুপ করে বলে অভিযোগ ওঠে।
ঘটনার দিন গুরুতর আহত হন ঝুনু গ্রুপের উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও পৌর কাউন্সিলর মিনাজুর রহমান লিপন। এই ঘটনায় খন্দকার নাসিরকে এক নম্বর আসামি করে মামলা হয়। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।





