কুড়িগ্রামে কনকনে শীতের তাণ্ডব, চরম ভোগান্তিতে চরের দিনমজুররা
কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে চরের খেটে খাওয়া মানুষদের জীবনযাপন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে আসে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি মৌসুমে এলাকাবাসীর জন্য আরও ভোগান্তি ডেকে এনেছে।
আরও পড়ুন: অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করলো বিজিবি
স্থানীয়রা জানান, ভোর থেকে শুরু হওয়া ঠান্ডা বাতাস যেন একেবারে হাড় কাঁপিয়ে দিচ্ছে। রাস্তাঘাটে কমে এসেছে মানুষের চলাচল। কাজের প্রয়োজনে যাদের ঘর থেকে বের হতে হয়, তারা পড়েছেন সবচেয়ে বেশি বিপাকে।
যাত্রাপুর এলাকার ঘোড়াগাড়ি চালক জলিল মিয়া (৬০) বলেন, এ শীত তো আগেভাগেই নামছে। কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে গাড়ি চালাতে হাত-পা জমে আসে। কিন্তু না বের হলেই তো সংসার চলবে না।
আরও পড়ুন: জামালপুরের আলোচিত মনিরুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার
অন্যদিকে পাঁচগাছিয়ার কৃষিশ্রমিক আব্দুল কাদের (৫৫) জানান, ধান কাটার মৌসুম চলছে। কিন্তু সকালের ঠান্ডা এত বেশি যে মাঠে যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। তারপরও পেটের দায়ে কাজ করতে বের হতেই হয়।
এদিকে শীতের প্রকোপ বাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন জানিয়েছেন,
জেলার ৯টি উপজেলায় মোট ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব অর্থ দিয়ে কম্বল কেনার কাজ চলছে। তালিকা অনুযায়ী শীতার্ত মানুষের মাঝে এগুলো বিতরণ করা হবে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার নিশ্চিত করেছেন যে আজ সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরিস্থিতি বিবেচনায় শীত আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।





