ময়মনসিংহে দিপু দাস হত্যায় ১২ আসামি ৩ দিন করে রিমান্ডে
ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাক কারখানার শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসকে (২৭) পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১২ আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাত হোসেন শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস (বিডি) লিমিটেড কারখানার ফ্লোর ইনচার্জ আলমগীর হোসেন (৩৮), কোয়ালিটি ইনচার্জ মিরাজ হোসেন (৪৬), শ্রমিক তারেক হোসেন (১৯), লিমন সরকার (২২), মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯) ও নিঝুম উদ্দিন (২০); ভালুকার বাসিন্দা আজমল হাসান (২৬) আশিকুর রহমান (২৫), কাইয়ুম (২৫) ও শাহিন মিয়া (১৯); ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা মো. নাজমুল (২১)।
আরও পড়ুন: খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলি, সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির তল্লাশি
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ৭ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাত হোসেন গ্রেপ্তার ১২ আসামীর তিন করে রিমান্ড আদেশ দেন।
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক শেখ মোস্তাছিনুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজার-০২ (কুলাউড়া) আসনে ৪ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
তিনি বলেন, পুলিশ গ্রেপ্তার ১২ আসামিকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। পরে বিচারক প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ড আদেশ দেন।
গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে নিহতের ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০/১৬০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা দায়েন করেন। মামলার পর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপুকে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে তার মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। কেন ওই যুবককে পুলিশের হাতে না দিয়ে জনতার হাতে তুলে দেওয়া হলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
নিহতের বাবা রবি চন্দ্র দাস ও বোন চম্পা দাসের দাবি, উৎপাদন বৃদ্ধি নিয়ে বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে দিপুকে মিথ্যা অপবাদে হত্যা করা হয়েছে। তাদের দাবি, দিপু শিক্ষিত এবং সচেতন ছিলেন, তিনি এমন কাজ (ধর্ম অবমাননা) করতে পারেন না





