চিনির বাজারের অস্থিরতা কমছে না

MIZANUR RAHMAN
বাংলাবাজার পত্রিকা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, ২১ জুলাই ২০২৩ | আপডেট: ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, ২১ জুলাই ২০২৩
ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিশৃঙ্খলা চলছে চিনির বাজারে। বেঁধে দেওয়া দামকে উপেক্ষা করেই চলছে বিক্রয় কার্যক্রম। প্রতি কেজি খোলা চিনি নির্ধারিত ১২০ টাকার বিপরীতে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকায়। এতে বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন ভোক্তাসাধারণ। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার তদারকির পাশাপাশি মূল্য সমন্বয় করা গেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে চিনির বাজার।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচা বাজার, শ্যামলী কাঁচা বাজার ও যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা দোকানগুলোতে পাওয়াই যাচ্ছে না প্যাকেটজাত চিনি। তবে দুয়েকটি দোকানে পাওয়া গেলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: প্রথম ১০ দিনে অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিল করলেন ৯৬ হাজারের বেশি করদাতা

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির তথ্য বলছে, গত এক বছরে চিনির দাম বেড়েছে প্রায় ৬৭ শতাংশ। গত বছর প্রতি কেজি চিনি ৮০-৮২ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা পর্যন্ত। গত মাসের ১১ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সপ্তম সভায় উঠে আসে চিনির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টনে ৩৩ শতাংশ বাড়লেও দেশের বাজারে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৫৮ শতাংশ।

টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন অনুসারে গত ১১ মাসের উৎপাদন, আমদানি ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দেশের বাজারে বছরে চিনির চাহিদা ২০ লাখ টন হলেও ১১ মাসে এর ঘাটতি রয়েছে প্রায় এক লাখ টন।

আরও পড়ুন: পাম অয়েলের দাম লিটারে কমলো ১৯ টাকা

ঊর্ধ্বমুখী চিনির বাজারদর নিয়ে শ্যামলী কাঁচা বাজারের মুদিপণ্য বিক্রেতা কাওসার মিয়া বলেন, ‘আমরা পাইকারি বা ডিলারের কাছে থেকে কম দামে চিনি পেলে কম দামে বিক্রি করতে পারব। চিনির দামই তো বাড়তি, বেশি দামে কিনতে হয়। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে তেলের দাম দফায় দফায় নির্ধারণ করা হচ্ছে। একইভাবে চিনির দামও নিয়মিত সমন্বয়ের পাশাপাশি বাজার তদারকি জোরদার করার দাবি করছেন ভোক্তারা।

এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ক্রেতা নয়ন মিয়া বলেন, ‘চিনির দাম বেড়েই যাচ্ছে। এর একটা সমাধান করা দরকার। বাজার তদারকি বাড়াতে হবে। এভাবে বাজার চলতে থাকলে আমরা ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’ 

এদিকে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু ও কাঁচা মরিচ। মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ কিনতে গুনতে হচ্ছে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। আর প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।

অপরিবর্তিত রয়েছে সবজি ও মাছের দাম। আকারভেদে প্রতি কেজি শিং মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, ট্যাংরা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০, সিলভার কার্প ১৭০-২০০, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২০০, রুই ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আর সবজির বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ থেকে ৭০, করলা ৮০ থেকে ১০০, ঢ়্যাঁড়স ৪০ থেকে ৫০, বেগুন ৫০ থেকে ৮০, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০, পটোল ৫০ থেকে ৫৫, কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও প্রতি পিস লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।