মূল্যস্ফীতি ৯% থেকে ৬.৫% নামানো অসম্ভব: সিপিডি

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:১৬ অপরাহ্ন, ০৭ জুন ২০২৪ | আপডেট: ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, ০৭ জুন ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেট বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষ করে, ৯ শতাংশের উপরে দুই বছর ধরে থাকা মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা অসম্ভব বলে মনে করেন তারা।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, বেসরকারি ও ব্যক্তিগত খাতের বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা অবাস্তব। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণে বাজেট বাস্তবতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তিনি মনে করেন, এটি একটি "দুর্বল ও অতি সাধারণ বাজেট" যা কঠিন সময়ে জনগণকে তেমন স্বস্তি দিতে পারবে না।

আরও পড়ুন: ডিএসইতে বড় দরপতন: ১৩ কার্যদিবসে সর্বনিম্ন লেনদেন

তার দাবি, মূল্যস্ফীতি প্রবৃদ্ধি বিনিয়োগের প্রাক্কলন অনেক বেশি উচ্চাভিলাষী এবং বাস্তবতা বিবর্জিত। এ কারণে এই বাজেটের অনেক কিছু অর্জিত হবে না। এটি কঠিন সময়ে দুর্বল ও অতি সাধারণ বাজেট।

ড. ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, একটা চ্যালেঞ্জিং সময়ের বাজেট এটি। তাই প্রত্যাশা ছিল এই বাজেট অনেক কিছুর উদ্ভাবনী হবে। এখানে সৃজনশীল কিছু সাহসী পদক্ষেপ থাকবে। কারণ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জিং সময়ে গতানুগতিক বাজেট কোনো ধরনের সমাধান দিতে পারে না। এবারের বাজেট আমাদের কাছে অতীতের বাজেটের মতোই মনে হয়েছে। বর্তমান সময়ের সমস্যা, ক্রান্তিকালীন সংকট দেখা দিয়েছে অর্থনীতিতে, সেগুলো সমাধানে এই বাজেট যথোপযুক্ত পদক্ষেপ বা দিকনির্দেশনা দিতে পারেনি।

আরও পড়ুন: ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর আইনগত ভিত্তি নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এমপিদের গাড়ি আমদানিতে শুল্ক আরোপ করার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এটা ভালো উদাহরণ। তাদের কিছু পরিমাণ হলেও কর দেয়া উচিত। তবে মন্ত্রী এমপিদের করমুক্ত গাড়ি পাওয়ার যে আইন রয়েছে সে আইন পরিবর্তন করতে হবে।

বাজেটে দুষ্টচক্রকে মাথায় হাত বুলানো হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে স্পষ্ট বলা হয়েছে দুর্বৃত্তায়ন দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে থাকবে সরকার। কিন্তু বাজেটে কর ও ঋণ খেলাপিসহ দুষ্টচক্রকে মাথায় হাত বুলিয়ে তাদের টাকা অর্থনীতিতে আনার প্রচেষ্টায় কর হার কমানো হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।