জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দলীয় সংকীর্ণতা পরিহারের আহ্বান ডাকসু ভিপির

Any Akter
ঢাবি প্রতিনিধি,
প্রকাশিত: ৫:১৫ অপরাহ্ন, ০৩ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৫:১৬ অপরাহ্ন, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দলীয় সংকীর্ণতা ও রাজনৈতিক স্বার্থপরতা পরিহারের আহবান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি)। রোববার (৩ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ডাকসু ভিপি বলেন, “সংবিধান থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ ও কুক্ষিগত করার মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে খুনী হাসিনা। এই ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থার পরিবর্তনে জুলাই আকাঙ্ক্ষার আলোকে প্রণীত জুলাই সনদে ৮৭টি মৌলিক কাঠামোগত সংস্কার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।”

তিনি জানান, ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও কিছু প্রস্তাবে নোট অব ডিসেন্ট (লিখিত আপত্তি) দিয়েছে।

আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষের আইবিএ এমবিএ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন

বিএনপি সর্বাধিক ১৯টি প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সরকারি কর্ম কমিশনে নিয়োগ, ন্যায়পাল ও মহা হিসাব নিরীক্ষক নিয়োগ, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং স্বাধীন ফৌজদারী তদন্ত সার্ভিস গঠন, আইনজীবী সমিতি ও বার কাউন্সিল নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রভাব বিলোপ ইত্যাদি।

এছাড়া সংসদ সদস্যদের স্বাধীন ভোটাধিকার, জাতীয় স্বার্থে আন্তর্জাতিক চুক্তি সংসদের অনুমোদনের শর্ত এবং স্বাধীন বিচারবিভাগীয় নিয়োগ কমিশন গঠনের প্রস্তাবেও আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি।

আরও পড়ুন: জ্যোতির্বিদদের অনুসন্ধানে উন্মোচিত মহাবিশ্বের রহস্য

অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী ৬টি প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে, যার মধ্যে স্থানীয় সরকারের আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের অধীনে ন্যস্ত করার প্রস্তাব রয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে।

ডাকসু ভিপি বলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর রাজনৈতিক দলগুলো নোট অব ডিসেন্টসহ জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও, সেটি গণভোটে পাঠানোকে কেন্দ্র করে আবারও অসহিষ্ণুতা ও নেতিবাচক প্রচারণা শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “জুলাই প্রজন্ম ও দেশের ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে আমি বিএনপি, জামায়াতসহ সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি  একটি সুন্দর আগামীর বাংলাদেশ গড়তে দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করুন। প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করুন।

বিবৃতির শেষে সাদিক কায়েম বলেন, “সেই রাজনীতি থেকে সরে আসতে হবে, যে রাজনীতিতে জনগণের চাওয়া-পাওয়া উপেক্ষিত থাকে।”