ইউক্রেনের চেরনিহিভে রুশ হামলায় ৭ জন নিহত, আহত ১৪৪

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভে সোফিয়া নামের এক শিশুসহ নিহত হয়েছেন অন্তত ৭ জন। হামলায় শিশুসহ আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৪৪ জন। গুরুতর আহত ২৫ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে হামলার এ ঘটনা ঘটে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে পাকিস্তানকে কঠিন হুঁশিয়ারি দিলেন মোদি
হতাহতদের মধ্যে এমন ব্যক্তিও ছিলেন যারা গির্জায় ছুটি উদযাপন করছিলেন। হামলায় একটি চত্বর ও একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চেরনিহিভ বেলারুশের সঙ্গে ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।
সুইডেন সফররত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তার ভাষণে বলেন, হামলায় সব মিলিয়ে ১৪৪ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনই শিশু। এছাড়া নিহত ৭ জনের মধ্যে শিশুটির নাম সোফিয়া। আহতদের মধ্যে ১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন চুক্তি নিয়ে পুতিনের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ট্রাম্প, জেলেনস্কির উপস্থিতি নিয়ে নতুন তথ্য
রেকর্ড করা ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন,আমি নিশ্চিত যে, আমাদের সৈন্যরা রাশিয়ার এই সন্ত্রাসী হামলার কড়া এবং তীব্র জবাব দেবে। একটি সমুচিত জবাব দেবে।
এদিকে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থা রাশিয়ান সিকিউরিটি কাউন্সিলের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ টেলিগ্রামে এক পোস্টে জানান, ইউক্রেন যুদ্ধ মূলত রাশিয়ার ভৌগলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই। এ কারণে যতদিন পর্যন্ত ইউক্রেনে ‘নিষ্ঠুর শক্তি’ ক্ষমতাসীন থাকবে, ততদিন পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলবে। ফলে বছরের পর বছর- এমনকি কয়েক দশক পর্যন্তও স্থায়ী হতে পারে এই সংঘাত।
পোস্টে মেদভেদেভ বলেন, ‘রাশিয়ার অস্তিত্বের সঙ্গে এই যুদ্ধ সরাসরি সম্পর্কিত। আমাদের সামনে আর কোনো পথ নেই। যদি আমরা তাদের ষড়যন্ত্র ও নিষ্ঠুর পরিকল্পনা ধ্বংস করতে না পারি, সেক্ষেত্রে পশ্চিম ঐক্যবদ্ধভাবে রাশিয়াকে টুকরো টুকরো করবে।’