গাজার আল-শিফা হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা সব রোগী মারা গেছে

বাংলাবাজার পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:৫০ অপরাহ্ন, ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ৭:৫০ পূর্বাহ্ন, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি অবরুদ্ধ করার পর ফিলিস্তিনের গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) সব রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) হাসপাতালটির পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে বুধবার (১৫ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজ জানিয়েছিল, হাসপাতালটির আইসিইউতে থাকা ৬৩ রোগীর ৪৩ জনেরই মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারে অবাধ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের বার্তা

আবু সালমিয়া বলেন, রোগী, চিকিৎসাকর্মী এবং আশ্রয় নেওয়া মিলিয়ে ৭ হাজার লোক হাসপাতালে আটকা পড়েছে। চিকিৎসকরা এখনো রোগীর সেবায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইসরায়েলি বাহিনী কাউকে ঢুকতে বা বের হতে না দেওয়ায় হাসপাতালটি বড় কারাগার ও গণকবর হয়ে উঠেছে।

তিনি আরও বলেন, তিন দিন ধরে হাসপাতালটি অবরোধে রাখা হয়েছে। এখন আমাদের কাছে কিছুই নেই। জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাবার, পানি কিছুই নেই। প্রতি মুহূর্তে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত, পদক্ষেপ সীমিত: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন

পরিস্থিতি খুবই বেদনাদায়ক উল্লেখ করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, আল-শিফা হাসপাতালকে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছে। হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. আহমেদ মোখল্লালতি জানান, বাধ্য হয়ে তারা হাসপাতাল চত্বরেই মরদেহ দাফন করছেন।

গত ১৫ নভেম্বর আল-শিফা হাসপাতালের ভেতরে হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা। হামলার সময় হাসপাতালটিতে ৬৫০ জন রোগী, প্রায় ৫০০ জন স্টাফ এবং কয়েক হাজার আশ্রিত মানুষ ছিলেন। তারা গত তিন-চারদিন ধরে সেখানে খাবার-পানি ছাড়া আটকা পড়ে আছেন। এছাড়া যেসব রোগী আইসিওতে আছেন তারা জ্বালানির অভাবে মেশিন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

সূত্র: আল জাজিরা