প্রেসিডেন্ট ক্ষমা করলেও গ্রহণ করবেন না ইমরান

SM Shamim
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:১০ অপরাহ্ন, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | আপডেট: ১:৪৯ অপরাহ্ন, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

তোষাখানা মামলায় বর্তমানে আদিয়ালা কারাগারে বন্দি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্তও হয়েছেন তিনি। তবে তার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ক্ষমার জন্য কোনো পক্ষের অনুরোধ বিবেচনা না করার জন্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিকে জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন পিটিআইয়ের মুখপাত্র রওফ হাসান।

দ্যা নিউজ ইন্টারন্যাশনালে মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। 

আরও পড়ুন: 'ফিফা শান্তি পুরস্কার’ পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি যেন ইমরান খানকে ক্ষমা করে দেন সে বিষয়ে দাবি জানানো হচ্ছে। অনেক সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞ এবং আইনজীবী মনে করেন,প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে প্রেসিডেন্ট যে কোনো সাজা ক্ষমা, মওকুফ বা স্থগিত করতে পারেন। আবার অনেকে বলছেন,প্রধান নির্বাহীর পরামর্শ ছাড়াই প্রেসিডেন্ট এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। 

সোমবার দ্য নিউজের সঙ্গে আলাপকালে রওফ হাসান বলেন, প্রেসিডেন্টের সাংবিধানিক ক্ষমতা রয়েছে যেকোনো আদালত কর্তৃক প্রদত্ত যেকোনো সাজা ক্ষমা করার। সামাজিক মাধ্যমগুলোতেও  ইমরান খানের বিষয়ে প্রেসিডেন্টের ক্ষমা নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন: ডনবাস ইস্যুতে কোনো ছাড় নয়, কঠোর অবস্থানে পুতিন

পিটিআইয়ের এই মুখপাত্র আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর এ ধরনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইমরান খান প্রেসিডেন্টের কাছে বার্তা পাঠিয়েছেন যেন কোনোভাবেই তা না হয়।

পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এমন ক্ষমা কখনোই মেনে নেবেন না বলে উল্লেখ করেন রওফ হাসান।  বলেন, যেকোনো আসামিকে ক্ষমা করার সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের রয়েছে। তবে সেখানে অন্য কিছুর প্রভাব যেন না পড়ে।

প্রেসিডেন্টর ক্ষমার বিষয়ে পাকিস্তানের সংবিধানের ৪৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্টের  ক্ষমা, প্রত্যাহার এবং অবকাশ প্রদানের এবং আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্যান্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা কমানোর ক্ষমতা থাকবে।’