বাংলাদেশ ঝুঁকিমুক্ত, মোখা আঘাত হানবে মিয়ানমারে

Shakil
বাংলাবাজার পত্রিকা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৩:০৩ অপরাহ্ন, ১৪ মে ২০২৩ | আপডেট: ১২:২৪ অপরাহ্ন, ১৪ মে ২০২৩
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

প্রচণ্ড শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখা মূল আঘাত হানতে যাচ্ছে মিয়ানমারের ওপর। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, এ কারণেই বাংলাদেশের জন্য অনেকটা ঝুঁকি কেটে গেছে।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা টেকনাফ থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ মিয়ানমারের সিটুই অঞ্চল দিয়ে প্রভাহিত হবে।

আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট ঘিরে আ. লীগ-ছাত্রলীগকে সড়কে নামতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি কমিশনার

রোববার (১৪ মে) আগারগাঁও আবহাওয়া অধিদপ্তর ভবনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানানো হয়।

আজিজুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের মূল ঝুঁকিটা চলে যাবে মিয়ানমার অঞ্চল দিয়ে। টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের অঞ্চলগুলো ঝুঁকিমুক্ত হতে চলেছে। এর ফলে শুরু থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আমাদের যে ঝুঁকির সম্ভাবনা ছিল, এখন আর ততটা ঝুঁকি নেই।’

আরও পড়ুন: সরকারি প্রশিক্ষণে বাড়লো ভাতা ও সম্মানী

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার পিক আওয়ার হবে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা। এ সময়ে দ্রুত বেগে জলোচ্ছ্বাস প্রবাহিত হবে। তখন ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া হতে পারে, যা বর্তমানে (সাড়ে দশটায়) রয়েছে ৬০ কিলোমিটার পার আওয়ার।

তিনি আরও বলেন, বিকেল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় মোখা আমাদের অতিক্রম করে গেলেও এর প্রভাব থেকে যাবে আরও দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত। আর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পরিলক্ষিত হবে টেকনাফ এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপে। আমরা আশঙ্কা করছি জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা যদি ৮ থেকে ১২ ফিট পর্যন্ত হয়, তাহলে টেকনাফ এবং সেন্টমার্টিনে অস্থায়ীভাবে পানির জলাবদ্ধতা থাকবে। তবে পর্যায়ক্রমে তা কেটে যাবে।