তীব্র গরমে দুর্ঘটনা এড়াতে গতি কমিয়ে ট্রেন চালানোর নির্দেশ

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:৪৯ অপরাহ্ন, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | আপডেট: ১:২৩ অপরাহ্ন, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সারা দেশে তীব্র গরমের প্রভাবে রেল লাইন বেঁকে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে। এ ঝুঁকি মোকাবেলায় পূর্বাঞ্চল রেলপথে সকল ট্রেনের গতি কমিয়ে চালানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কমার তালুকদার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "তীব্র গরমের কারণে রেল লাইনের লোহার রড প্রসারিত হয়ে লাইন বেঁকে যেতে পারে। এর ফলে ট্রেন দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায়।"

আরও পড়ুন: বিমান বাহিনীর আন্তঃঘাঁটি কাবাডি প্রতিযোগিতা সমাপ্ত, চ্যাম্পিয়ন কক্সবাজার ঘাঁটি দল

রেলের বিভিন্ন সেকশনের লোকোমাস্টাররাও এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা জানিয়েছেন, রেলওয়ের কন্ট্রোল রুম থেকে তাদের গতি কমিয়ে ট্রেন চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছেন, তীব্র গরমের কারণে রেল লাইনের লোহার রড প্রসারিত হয়ে লাইন বেঁকে যেতে পারে। এর ফলে ট্রেন দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। সেই দুর্ঘটনা এড়াতেই ট্রেনের গতি কমানো হয়েছে।

লোকোমাস্টাররা আরো জানান, মূলত বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই নির্দেশনা বহাল থাকে। তার পরও তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে এই সময় কমবেশি হতে পারে। তাপমাত্রা যখন থেকেই প্রতিকূল অবস্থায় থাকে, তখনই এই নির্দেশনা কার্যকর হয়। 

আরও পড়ুন: আল বদর বাহিনী ধর্মকে বিক্রি করছে, বিএনপি বিশৃঙ্খলাকে প্রশ্রয় দেয় না: আমিনুল হক

বাংলাদেশ রেলওয়ের এক নির্দেশনায় দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের একটি সেকশনের একটি ট্রেনকে বুধবার দুপুরে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘এর জন্য একটা স্ট্যান্ডিং অর্ডার আছে। তবে স্থান, কাল, পাত্রের ওপর নির্ভর করে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। অর্থাৎ কোনো একটি নির্দিষ্ট সেকশনের পরিবেশ, ট্র্যাকের কন্ডিশনসহ সবকিছু বিবেচনা করে এটি কার্যকর হয়। আমাদের কর্মকর্তারা দেখেন ট্র্যাকের টেম্পারেচার কেমন, পরিবেশ কেমন তারপর নির্দেশনা দেন।’ 

রেলের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এটা ৩০ ডিগ্রি বা ৪০ ডিগ্রির কোনো বিষয় না।

কারণ যেখানে নতুন ট্র্যাক রয়েছে, সেখানে ৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নিতে পারে। আবার পুরোনো ট্র্যাকগুলো অত বেশি তাপমাত্রা নিতে পারে না। অর্থাৎ, স্থানীয় কন্ডিশনের ওপর ভিত্তি করে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।’