খুনিরা চিহ্নিত হলেও পরিকল্পনাকারী ও মোটিভ জানা যায়নি

আগে আরো দুইবার এমপি আনারকে হত্যার চেষ্টা করা হয়

Abid Rayhan Jaki
মোস্তাফিজুর রহমান খান বিপ্লব, বাংলাবাজার পত্রিকা
প্রকাশিত: ৮:৫১ অপরাহ্ন, ২৫ মে ২০২৪ | আপডেট: ৬:৫১ পূর্বাহ্ন, ২৬ মে ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

কলকাতা ও ঢাকার গোয়েন্দারা ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে নিষ্ঠুর ভাবে খুন ও গুমের ঘটনায় অপরাধীদের চিহ্নিত করা গেলেও পরিকল্পনাকারী এবং হত্যাকাণ্ডের মোটিভ জানতে পারেননি।  হত্যার ষড়যন্ত্রের শেকড় অনেক গভীরে বলে আভাস দিয়েছেন গোয়েন্দারা। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আন্ত:দেশীয় অপরাধীচক্র জড়িত থাকার তথ্য মিলেছে। নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাসহ সকল কিছু ‘কাট আউট’ পদ্ধতিতে বাস্তবায়ণ হওয়ায় অনেক তথ্য পাওয়া দু:সাধ্য হয়ে পড়েছে। তারা বলছেন, এযাবৎ তথ্যে মনে হচ্ছে  ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও যশোর সীমান্ত কেন্দ্রিক স্বর্ণ, মাদক এবং হুণ্ডি কারবারের নিয়ন্ত্রণ; আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে স্বর্ণ ও ডায়মণ্ডের শীর্ষস্থানীয় কয়েক ব্যবসায়ী এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনপ্রতিনিধি জড়িত। জনপ্রনিধিদের মধ্যে যশোর ও ঝিনাইদহের সাবেক দুই এমপিরও সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত মিলেছে। এই পুরো চক্রকে পর্যায়ক্রমে তদন্তের আওতায় নিয়ে আসবে তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

দুই এমপি ও প্রভাবশালী দুই ব্যবসায়ীর সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, তদন্তে নানা তথ্য আমরা পাচ্ছি। আমরা সবই বিচার বিশ্লেষণ করবো। গণমাধ্যমেও নানান তথ্য আসছে। সেগুলোও বিচার বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। যারাই সম্পৃক্ত থাকুক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।  

আরও পড়ুন: চলতি বছরই রোহিঙ্গা ইস্যুতে ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। ১৩ মে তিনি খুন হয়েছেন বলে ২০ মে নিশ্চিত করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের পুলিশ। খুনের পর তার মরদেহ টুকরো করে হাড় মাংস আলাদা করা হয়। দেহের খণ্ডিত অংশগুলো ভারতের বিভিন্নস্থানে ঝোপ-জঙ্গল ও খালে ফেলে দেওয়া হয়েছে। গত তিন দিন থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন খাল ও জঙ্গলে আনারের দেহাবশেষের সন্ধানে তল্লাশী চালাচ্ছে সেখানকার পুলিশ। ভারতীয় পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসে ডিবি পুলিশের সঙ্গে সাক্ষাত করেছে এবং ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আজ পশ্চিমবঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন। 

এদিকে আনার হত্যায় জড়িত সন্দেহে ডিবির হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ৩ জন ৮ দিনের রিমান্ডে রয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অপর দিকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মুম্বাইয়ের কসাই জিহাদ ১২ দিনের রিমান্ডে রয়েছে। ডিবি পুলিশ বলছেন, হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইণ্ড আখতারুজ্জামান শাহীন ইতোমধ্যে আমেরিকায় আত্মগোপন করেছেন।

আরও পড়ুন: পরিবহন সেক্টরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে : শিমুল বিশ্বাস

গোয়েন্দা সূত্র জানায় হত্যাকারীদের পরিচয় গোপন রাখতে কাট আউট পদ্ধতি ব্যবহার করেছে পরিকল্পনাকারীরা। কিলিং মিশনে যারা অংশ নেয় তাদের অনেকেই শুধুমাত্র নিজের কাজের অংশটুকুই সম্পন্ন করেছে। বাকি কাজ কারা কিভাবে করেছে তার কিছুই তারা জানে না। ঢাকায় তদন্ত তদারককারী ডিবির প্রধান ডিআইজি হারুন অর রশিদ বলেছেন হত্যাকাণ্ডের মোটি হিসেবে এলাকায় বিরোধ আধিপত্য রাজনৈতিক কারণ সহ মোট সাতটি কারণ নিয়ে তদন্ত করছেন তারা। ওদিকে কলকাতায় নিহত এমপির লাশ উদ্ধারের চেষ্টায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে থাকা কসাই জিহাদকে নিয়ে আজও তল্লাশি চালানো হয় বিভিন্ন স্থানে। জিহাদ তাদের জানিয়েছে কোথায় কি অবস্থায় লাশ ফেলা হয়েছে সেটা কেবল শিমুল ভুঁইয়াই বলতে পারে। ঢাকায় এসে ভারতীয় গোয়েন্দা দলের সদস্যরাও একই কায়দায় শিমুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেকটা অনুমান নির্ভরভাবে এই তল্লাশি চালাচ্ছেন। দুপুরে ঢাকায় মেট্রোর ডিবি কার্যালয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিশনাল কমিশনার হারুন অর রশিদ। তিনিও বলেছেন, আনার কিলিং মিশনে নেতৃত্ব ছিল শিমুল ভূঁইয়া। নির্বাচনের আগেও দুবার হত্যার পরিকল্পনা করা হয় এবং তাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। তৃতীয়বার এই মিশনে সফল হয় কিলাররা। তিনি জানান প্রথমে কথিত মডেল শিলাস্তি রহমানের সঙ্গে এমপি আনারের উলঙ্গ ছবি তোলা হয় পরে তাকে চেতনানাশক কিছু খাইয়ে অচেতন করার পর হত্যা করা হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসায় শিমুলসহ অন্যরা এই তথ্য দিয়েছে।


* সন্দেহের তালিকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও একাধিক সাবেক জনপ্রতিনিধি


দুই এমপি ও প্রভাবশালী দুই ব্যবসায়ীর সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আনার কিলিং মিশনে দুটি গ্রুপ কাজ করেছে। একটি গ্রুপ মদদ দিয়েছে আরেকটি গ্রুপ বাস্তবায়ন করেছে। মদদদাতা আক্তারুজ্জামান শাহীন ৩০ এপ্রিল কলকাতায় তিন সদস্যকে নিয়ে যান। সেই দলে একজন মেয়েও ছিল। শাহীনের সঙ্গে মদদদাতা ও খুনের নির্দেশদাতা আরও কারা ছিল সেটা জানার চেষ্টা চলছে। তদন্তে নেমে আমরা নানান তথ্য পাচ্ছি। গণমাধ্যমেও নানান তথ্য আসছে। কোটচাঁদপুর মানুষের কাছে রহস্যময় চরিত্র শাহীনের পূর্ববর্তী ক্রিমিনাল রেকর্ড পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্র জানায়, তার সঙ্গে আনারের হুণ্ডি ও সোনা কারবারের অর্থ নিয়ে বিরোধ ছিল। এমপি আনারের বাল্যবন্ধু শাহীন। সে কেন আনারকে হত্যা করছে? তাকে কেউ নির্দেশ দিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে গোয়েন্দারা বলেন, ‘অনেক তথ্যই আমরা পাচ্ছি। কুখ্যাত চরমপন্থী নেতা শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ সাঈকে কিলিং মিশন বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেন শাহীন। তারা দুজন মিলে সিয়াম, জিহাদ, ফয়সাল ওরফে তানভীর ও মোস্তাফিজুর রহমান ফকির নামে কয়েকজনকে ভাড়া করে। পুরো কিলিং মিশনে অংশ নেন মোট সাত জন। ৩০ এপ্রিল শাহীন তার দুই সহযোগী আমানুল্লাহ, সেলে নিস্কি ওরফে সেলেস্তিকে সঙ্গে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে যান। সেখানে মাসে লাখ রুপিতে নিউটাউন এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া করে আমানুল্লাহ ও সেলেনিস্কিকে রেখে ১০ মে শাহীন দেশে ফিরেন। গুলশানের ফ্ল্যাটে বসে কিলিং মিশন পর্যবেক্ষণ করেন শাহীন।  

প্রশ্ন উঠেছ ‘শাহীন পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে কাট আউট পদ্ধতি। যারা কিলিং মিশন বাস্তবায়ন করেছে তারা সবাই ভাড়াটে কিলার। এরা পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর শাহীনের নাম বলেছে। শাহীনকে জিজ্ঞাবাদ করলে অন্য কারা আছে সেটা জানা যাবে। তবে শহানী কিলিং মিশন বাস্তবায়ন করে ২০ মে বা তারও আগে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছে।’ 

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘আমরা বিভিন্ন সূত্র থেকে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার সঙ্গে গুলশানের একজন ডায়মণ্ড ব্যবসায়ী (যার বাড়ি বৃহত্তর যশোর এলাকায়), ঢাকার একজন শিল্পপতি, একজন ডেভেলপার ব্যবসায়ী, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরের সাবেক দুইজন সংসদ সদস্যের সম্পৃক্ততার তথ্য পাচ্ছি। তাদেরকে প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হবে।’ ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘খুনের প্রকৃত মোটিভ জানার জন্য শাহীনের বক্তব্য নেওয়া জরুরী। ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক পুলিশি সংস্থা ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাইবে।’ 

বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে আরও দুই দফায় আনারকে হত্যার চেষ্টা করে ঘাতকরা। চলতি বছরের ১৭ থেকে ১৮ জানুয়ারি আনোয়ারুল কলকাতায় যান। সেই সময়ে হত্যাকারীরাও তাকে খুনের উদ্দেশ্যে কলকাতায় গিয়েছিল। কিন্তু হোটেলে থাকার কারণে ঘাতকদের ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তৃতীয় ধাপে গত ১৩ মে তারা সফল হয়। গতকাল ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘শুধু হত্যাই নয়, আসামীদের পরিকল্পনা ছিল আনারকে জিম্মিকে করে বড় অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। ওই অর্থ ঘাতকদের দিয়ে দেওয়া হতো। শাহীনের পাতা হানি-ট্রাপে পা দিয়ে ভারতে যান আনার। তাদের পরিকল্পনা ছিল ১৩ মে খুন করার আগে আনারকে জিম্মি করা হবে। আনারের আপত্তিকর ও অন্ত:রঙ্গ ছবি তুলে দুই দিন রেখে ব্ল্যাকমেল করা হবে। ওই সময় হুণ্ডির মাধ্যমে দেশ থেকে এবং কলকাতায় থাকা আনারের বন্ধুদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতে চেয়েছিল ঘাতকরা। কিন্তু ঘটনার দিন নিউটাউনের ফ্লাটে আনারের মুখে চেতনানাশক স্প্রে করায় জ্ঞান হারান তিনি। অজ্ঞান অবস্থায় আনোয়ারুলের আপত্তিকর ছবিও তোলা হয়। চেতনানাশক স্প্রে করার পর জ্ঞান না ফেরায় ব্ল্যাকমেইলের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে লাশ গুমের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে ঘাতকরা। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রযুক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা জেনেছি, শাহীন ৩০ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত কলকাতায় অবস্থান করে কিলিং মিশন বাস্তবায়নের মূল নেতা পূর্ব বাংলা কমিউনিস্টের নেতা আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়াকে সব বুঝিয়ে দিয়ে দেশে চলে আসেন। তাদের কাছ থেকে আমরা বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছি। যেহেতু ভারতীয় পুলিশ আমাদের এখানে কাজ করছে, তাদের কাজ শেষ হলে আমরাও কলকাতায় যাবো।’

কী কারণে হত্যা করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, ‘এই হত্যার পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। এই হত্যা বাস্তবায়নে সবাই পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে শিমুল ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে অন্তত পাঁচ থেকে ছয়টি গলাকেটে হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে।’ 


আনারের লাশ এখনো পাওয়া যায়নি, কিসের ভিত্তিতে হত্যার কথা বলা হচ্ছে, জানতে চাইলে হারুন বলেন, ‘আমরা অনেক তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে এখন প্রকাশ করছি না। প্রমাণ পেয়েছি বলেই কলকাতায় হত্যা মামলা হয়েছে। আমাদের দেশে একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। কলকাতায় মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে।

সংসদ সদস্য আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে আজ ভারত যাবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি প্রতিনিধি দল। তিন সদস্যের এ দলের নেতৃত্বে থাকবেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন উপকমিশনার আব্দুল আহাদ ও অতিরিক্ত উপকমিশনার সাহিদুজ্জামান।

 

* কলকাতার খালে বিলে তল্লাশী


পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে রিমান্ডে থাকা কসাই জিহাদের বরাত দিয়ে সেখানকার সিআইডি পুলিশ জানায় শাহিনের নির্দেশে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

জিহাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটের আশপাশের এলাকার ময়লার ভাগাড়, খাল-নালায় লাশের টুকরোর সন্ধানে গত বৃহস্পতিবার রাতে তল্লাশি চালায় স্থানীয় সিআইডি। কিন্তু কোথাও লাশের কোনো টুকরো পাওয়া যায়নি। কাশিপুর থানার অন্তর্গত ভাঙরের কৃষ্ণমাটি ও পোলেরহাটে লাশের টুকরোর পলিব্যাগ ফেলা হয়েছে- এমন তথ্যও পাওয়া যায়। এর সূত্র ধরে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও স্থানীয় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমও লাশের সন্ধান করছে।’ 

জানা গেছে, ভাঙর এলাকার পুরাতন বিদ্যাধরী নদী মজে যে খালে পরিণত হয়েছে, সেখানেও কলকাতা পুলিশ এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ ফেলে দেওয়া লাশের টুকরো খোঁজার চেষ্টা করে। জাল দিয়ে ও ডুবরী নামিয়ে তল্লাশী চালায়। মরদেহের টুকরা সম্বলিত পলিব্যাগ ফেলার স্থান শনাক্ত করতে জিহাদকেও অভিযানকালে সঙ্গে নিয়ে যায় সিআইডি পুলিশ। লাশের টুকরোর খোঁজে খালে ডুবুরি দলও নামানো হয়। কিন্তু গতকাল সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে কোথাও মৃতদেহের সন্ধান মেলেনি।