স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাদ দিতে আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা নেই : তাজুল ইসলাম

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৫৬ অপরাহ্ন, ০৮ জুন ২০২৪ | আপডেট: ২:৪৪ অপরাহ্ন, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নির্দলীয় প্রতীকে নির্বাচন আয়োজনে আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা নেই— এ কথা বলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তার মতে, দলীয় প্রতীক ব্যবহার করা কিংবা না করা, কোনোটাকেই খুব ক্ষতিকর বলা যাবে না। স্থানীয় সরকার স্বাবলম্বী হতে পারলে প্রতীক বিবেচ্য বিষয় নয়।

গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত ‘স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে চ্যালেঞ্জ ও নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় সরকার গঠনে যোগ্য লোকের সংকট আছে বলেও দাবি করেন তাজুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: ভোটের আগে জোট, পর্দার আড়ালে 'আন্ডারস্ট্যান্ডিং'

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান আইন এমনভাবে রয়েছে যে দলীয় প্রতীকে বা নির্দলীয় প্রতীকে ভোট করার সুযোগ রয়েছে। রাজনৈতিক দল যদি মনে করে, দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেবেন সেটাও করতে পারে। আবার দলীয় প্রতীক না দিয়েও নির্বাচন করতে পারে। তাই নির্দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার জন্য আইন সংশোধনের প্রয়োজন নেই।

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ ও নির্বাচন বিশ্লেষক ড. আব্দুল আলীম। উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেয়র, সাবেক নির্বাচন কমিশনার, সুজন সম্পাদকসহ আরও অনেকে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ব্যবহার নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন তারা।

আরও পড়ুন: তফসিল ও ভোটের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান ইসির

স্থানীয় সরকার দুর্বল হওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসন ও সংসদ সদস্যদের নিয়ন্ত্রণকে দায়ী করেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। সাবেক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম প্রশাসনিক নেতৃত্বের জটিলতা দূর করার ওপর জোর দেন।

আরেক সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন অভিযোগ করেন, একটি দলের সুবিধা-অসুবিধার কথা চিন্তা করে প্রতীক দিয়ে স্থানীয় নির্বাচন করা হচ্ছে।