চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সাবেক বিডিআর সদস্যদের শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচলে স্থবিরতা

চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন ২০০৯ সালের পিলখানা ট্র্যাজেডির পর চাকরিচ্যুত হওয়া সাবেক বিডিআর সদস্যরা। সোমবার (২৩ জুন) দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তারা। আন্দোলনের ফলে শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে। অবস্থান নেওয়ার সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে, ব্যারিকেড ভেঙে আন্দোলনকারীরা মোড়ে বসে পড়লে শাহবাগে কার্যত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ সময় চাকরিচ্যুত সাবেক বিডিআর সদস্যরা তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। তাদের দাবিগুলো হলো:
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে একযোগে ২৯ কর্মকর্তার বদলি
১. পিলখানাসহ সারাদেশের বিডিআর ইউনিটসমূহে বিশেষ আদালত এবং মহাপরিচালক ও অধিনায়কের সামারি কোর্টের মাধ্যমে যেসব সদস্য চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন (বিশেষ করে ৭৬ ব্যাচ), তাদের সবাইকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। একইসঙ্গে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা এবং পূর্ণ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।
২. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে গঠিত শর্তযুক্ত তদন্ত কমিশনকে স্বাধীন ও পূর্ণাঙ্গ কমিশনে রূপান্তর করতে হবে। এর জন্য কমিশনের কার্যকারিতা বাধাগ্রস্তকারী সব বিধিনিষেধ, বিশেষ করে প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত “ব্যতীত” শব্দ এবং কার্যপরিধির ২ (ঙ) ধারাটি বাতিল করতে হবে। মিথ্যা সাক্ষ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত নিরপরাধ সদস্যদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা আছে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
৩. পিলখানা ঘটনার পর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের পুনর্বাসন করতে হবে। পাশাপাশি বিডিআরের ঐতিহাসিক নাম “বাংলাদেশ রাইফেলস” পুনঃস্থাপন করতে হবে।
চাকরিচ্যুত সদস্যরা জানান, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে তারা অবিচারের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এখন তারা শুধু ন্যায্য বিচার ও সম্মানের সাথে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি চান।
অবস্থান কর্মসূচির কারণে শাহবাগ মোড় ও সংলগ্ন সড়কগুলোতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। অনেক যাত্রী ও পথচারী দুর্ভোগে পড়েছেন। তবে, এখন পর্যন্ত আন্দোলন শান্তিপূর্ণ রয়েছে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।