আদালতে ফয়সালের স্ত্রীর জবানবন্দি, হত্যাচেষ্টা মামলায় নতুন তথ্য
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলার মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ তিনজনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম এ রিমান্ড আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক আনিস আলমগীর ৫ দিনের রিমান্ডে
আদালতে মামলার মূল আসামি ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া বলেন, ঘটনার দুই থেকে তিন দিন আগে ফয়সাল করিমের সঙ্গে তার সর্বশেষ দেখা হয়। সে সময় তিনি বাসা থেকে কিছু কাপড় নিয়ে যান। এর বাইরে তার বিষয়ে তিনি আর কিছু জানেন না বলে আদালতকে জানান।
সাহেদা পারভীন সামিয়া আরও বলেন, ফয়সাল সাধারণত অনেক রাতে তার কাছে যেতেন এবং সকালে চলে আসতেন। নিয়মিত কোনো যোগাযোগ ছিল না। ঘটনার আগের সময়গুলোতে ফয়সাল তার সঙ্গে ছিলেন না বলেও দাবি করেন তিনি। ঘটনার দিন ফয়সাল করিম তার প্রেমিকা মারিয়া আক্তার লিমার সঙ্গে ছিলেন বলেও আদালতে উল্লেখ করেন সামিয়া।
আরও পড়ুন: এবারের বিজয় দিবস হোক নতুনভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিন: প্রধান উপদেষ্টা
এ মামলায় রিমান্ড পাওয়া অপর দুই আসামি হলেন ফয়সালের শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু এবং তার প্রেমিকা মারিয়া আক্তার লিমা।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজ শেষে মতিঝিল দিক থেকে একটি কালো মোটরসাইকেলে করে দুজন ব্যক্তি ঘটনাস্থলে আসে। মোটরসাইকেলের পেছনে বসা ব্যক্তি খুব কাছ থেকে হাদির মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। হামলার পরপরই মোটরসাইকেলটি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে হামলার মূল অভিযুক্ত এখনো পলাতক রয়েছে। তাকে ধরিয়ে দিতে সরকার ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. নজরুল ইসলাম জানান, ওসমান হাদির ওপর হামলার মূল আসামি দেশেই অবস্থান করছে বলে পুলিশের ধারণা। সন্দেহভাজন হামলাকারীদের পাসপোর্ট ইতোমধ্যে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।





