নীলফামারীতে বিপৎসীমার কাছাকাছি তিস্তার পানি

উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে। ফলে নীলফামারীর তিস্তা পাড়ের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুর ১২টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, সকাল ৬টায় পানি ছিল বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচে। পরে ধীরে ধীরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যায়।
আরও পড়ুন: ৪০ কেজি গাঁজাসহ বরখাস্ত পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
উল্লেখ্য, তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকাল ৩টায় ওই পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে যৌথ টহল, নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী একসাথে মাঠে
সেখানে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।
নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তাপাড়ের নিম্নাঞ্চলে বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করছে। এমনই একটি গ্রাম ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর। ভারত থেকে তিস্তার প্রায় প্রবেশমুখে গ্রামটির অবস্থান।
শনিবার দুপুরে ওই গ্রামের বাসিন্দা আহেনুল ইসলাম (৩৫) জানান, রাতে হঠাৎ করে নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এতে করে গ্রামের অনেকের বাড়ির উঠানে পানি প্রবেশ করেছে। এলাকার মানুষ আরো পানি বাড়ার শঙ্কায় আছেন।
ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, ‘নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সকালে আমার ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর ও পূর্বছাতনাই মৌজায় পানি প্রবেশ করে। এতে করে প্রায় এক হাজার তিন শ পরিবার পানিবন্দী হয়।
দুপুরের পর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে ফের পানি বাড়ার শঙ্কায় রয়েছে এলাকার মানুষ।’
একই উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। পানির তোরে ইউনিয়নের পূর্বখড়িবাড়ি গ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁধটির প্রায় ১০০ মিটার বিধ্বস্ত হয়েছে। সেটি স্থানীয় উদ্যোগে বাঁশের পাইলিং ও বালির বস্তা ফেলে মেরামতের কাজ চলছে। তবে এখনো কোনো বাড়িঘরে পানি উঠেনি।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদ্দৌলা বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১২টায় বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যারাজের সব কটি (৪৪টি) গেট খুলে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’