সাপ্তাহে দুইদিন মানুষ বেচাকেনার হাট বসে গোয়ালন্দ রেলস্টেশন এলাকায়

আধুনিক এ যুগেও রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সাপ্তাহে বুধবার ও শনিবার বসে মানুষ কেনাবেচার হাট। অর্থাৎ মানুষের শ্রম কেনাবেচার হাট। বয়স গায়ের শক্তি সমর্থ অনুযায়ী দরদামে নিজেকে বিক্রি করেন তারা। প্রাচীনকালের মত মানুষ বেচাকেনা হাট বসে গোয়ালন্দর রেলস্টেশন এলাকায়। দুবেলা রুটি রুজির জন্য প্রত্যেকদিন ভোর থেকেই বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিম্নআয়ের মানুষ হাজির হন এখানে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জীর্ণ পোশাক আর ব্যাগ হাতে নিজের দর কষছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব কালাম শেখ। কর্মের সন্ধানে কাক ডাকা ভোরে নিজেকে বিক্রি করতে এসে বসেছেন তিনি। কখনো ভালো দামে নিজেকে বিক্রি করেন আবার কখনো হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেন।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর অভিযানে খাগড়াছড়িতে অস্ত্রগুলি সহ আটক ১
কালাম শেখ জানান, পেটের দায়ে এখানে আসে। কাজ না হলে সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হয়। নাটোর থেকে ট্রেনে চড়ে এখানে এসেছি। ১০-১৫ কিলোমিটার দূরে গিয়ে কাজ করব। পাট কাটা ও ধান কাটা থেকে শুরু করে সব কাজ করতে পারি। এই হাটে গায়ে বল না থাকলে কেউ কেনে না। আর বিক্রি না হলে তখন সংসার চলে না। ধার দেনা করে চলতে হয়।
গোয়ালন্দ উপজেলা মুজাহিদ কমিটির সভাপতি কোরবান আলী জানান, আমার জমির কিছু পাটকাটা প্রয়োজন। শ্রমিক নিতে আমি এই হাটে এসেছি। কয়েকজন পছন্দ হয়েছে। তাদের সাথে দরদাম করে ৫০০ টাকা করে দৈনিক হারে তিনজন শ্রমিক নিয়েছি।
আরও পড়ুন: মাধবপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা গ্রেফতা, ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার
এ সময় অনেক শ্রমিককে বিক্রি না হতে দেখা যায়। বিক্রি না হলে তারা রেলস্টেশনের বারান্দায় রাত যাপন করেন। এভাবেই চলছে শ্রম বিক্রয় করা মানুষের জীবন।