জীবননগর-দত্তনগর সড়কের বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে

Sadek Ali
সালাউদ্দীন কাজল, জীবননগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:০৫ অপরাহ্ন, ২১ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ৪:২৫ অপরাহ্ন, ২১ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জীবননগর-দত্তনগর সড়কে বৃষ্টিতে রাস্তার ওপর জলাবদ্ধতার কারনে রাস্তা ভেঙ্গে বড়ো বড়ো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার দু’পাশ ভেঙ্গে পাঁকা রাস্তা কাঁদা পানিতে কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। ফলে ব্যস্ততম এই সড়কে সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি পেতে হচ্ছে। ভাঙ্গাচোরা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে যানবাহনের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। রাস্তায় গর্তের কারনে যানবাহনগুলো চলছে হেলেদুলে। রাস্তা সংস্কারের অভাবে জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌছিয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জীবননগর চৌরাস্তা মোড় থেকে দত্তনগর সড়কে ঢুকতেই এবং মাছ বাজরের সামনে রাস্তার বেহাল দশা। ভাঙ্গা রাস্তা ও গর্তের কারণে যানবাহন চলাচল খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেকটাই ঝুঁকি নিয়েই এই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এতে করে প্রতিনিয়তই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।বিশেষ করে বৃদ্ধ, শিশু ও মহিলাদের গাড়িতে যাতায়াত করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন: সিএনজি পাম্পে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, পুড়লো ১০ সিএনজি ও বাস

রাস্তার পাশেই রয়েছে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মিল-কারখানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই রাস্তা দিয়ে মালামাল আনা নেওয়া করতেও ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

দত্তনগর সড়কের ব্যবসায়ী সেলিম রেজা বলেন, জীবননগর-দত্তনগর এই সড়কটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যাস্ততম একটা সড়ক। প্রতিদিন জীবননগর ও মহেশপুর উপজেলার অধিকাংশ মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। ব্যবসার বিভিন্ন মালামাল আনা নেওয়া করে।কিন্তু রাস্তার এই অংশের অবস্থা এখন খানাখন্দে ভরা। একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতি সপ্তাহের রোববার ও বুধবার এখানে সাপ্তাহিক হাট বসে। ব্যবসায়ী ও কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য হাটে আনতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মাঝে মাঝে পণ্যভর্তি যানবাহন রাস্তার গর্তে পড়ে উল্টে গিয়ে মালামাল নষ্ট হয়।

আরও পড়ুন: পদ্মার ভাঙনের আতঙ্ক, হুমকির মুখে লৌহজংয়ের মানচিত্র

পথচারী মো. বাপ্পি রহমান বলেন, মহেশপুর উপজেলা থেকে অনেক রোগী এই রাস্তা দিয়ে জীবননগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। কিন্তু রাস্তার যে অবস্থা তাতে করে গড়িতে সুস্থ মানুষ যাতায়াত করলেও তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।

শাপলাকলি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র তানিম হোসেন বলেন, বাড়ি থেকে স্কুলে যাতায়াত করতে রাস্তার এই যায়গাটা পার হতে খুব কষ্ট হয়। রাস্তার কাঁদা পানি ছিটকে পড়ে স্কুল ড্রেস নষ্ট হয়ে যায়। মাঝে মাঝে ভাঙ্গা স্থান দিয়ে ধীর গতিতে গাড়ি চলাচলের করনে যানযট সৃষ্টি হয়। 

রাজু আহম্মেদ নামের এক গাড়ি চালক বলেন, এমন রাস্তায় চলাচল করলে গাড়ির অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। যাত্রীরা অনেক ভোগান্তিতে পড়েন। গাড়ির চাকা গর্তে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে।

জনদুর্ভোগ লাঘব করতে রাস্তা সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন পথচারীরা।