আলফাডাঙ্গায় বিএনপি নেতা খসরুর বিরুদ্ধে দিনমজুর লাভলুর বিস্ফোরক অভিযোগ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানায় গণঅভ্যুত্থানের পর করা বিস্ফোরক মামলাটি ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। মামলার বাদী দিনমজুর লাভলু সরদার নিজেই অভিযোগ তুলেছেন—উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খসরু ভুল বুঝিয়ে তার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে তাকে ‘বাদী’ বানিয়ে দিয়েছেন এবং চাঁদাবাজী করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় লাভলু সরদার অভিযোগ করেছেন, বিএনপি নেতা খসরুর প্রতারণার শিকার হয়ে তিনি বিস্ফোরক মামলার বাদী হয়েছেন। তার ভাষায়, একদিন খসরু তাকে কাজের কথা বলে থানায় নিয়ে যান। পরে থানা বিএনপির কমিটিতে পদ দেওয়ার কথা বলে একটি কাগজে স্বাক্ষর করান। তিনি তখন বুঝতেও পারেননি, তার সেই স্বাক্ষরই পরে ষড়যন্ত্রমূলক বিস্ফোরক মামলার বাদী হিসেবে ব্যবহার হবে।
আরও পড়ুন: অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করলো বিজিবি
লাভলু সরদারের দাবি, তার অজান্তেই এই মামলায় তাকে বাদী বানিয়ে খসরু সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। নিরপরাধ বহু মানুষকে জড়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি এই ঘটনার আইনি তদন্ত এবং জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: জামালপুরের আলোচিত মনিরুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার
স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে বলছেন, লাভলুর এই বক্তব্য মামলার বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এখন তদন্ত সংস্থার উচিত সত্য উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি আলফাডাঙ্গা থানায় আওয়ামী লীগের ১৭০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন আলফাডাঙ্গা পৌর সদরের বুড়াইচ এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর ইদ্রিস সরদারের ছেলে বিএনপির সমর্থক লাভলু সরদার। মামলাটিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক ও সাংবাদিকদের আসামি করা হয়। এ মামলায় আড়াই থেকে তিন হাজার অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে।





