গভীর রাতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গলাকেটে ও গুলি করে সাবেক ছাত্রদলকর্মীকে হত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গভীর রাতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গলা কেটে ও গুলি করে সাবেক ছাত্রদল কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ২৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় দু’পক্ষের আধিপত্য নিয়ে গোলাগুলির পর রাতে তাকে হত্যা করা হয়। নিহত সাদ্দাম হোসেন সাদ্দাম (৩৭) শহরের কান্দিপাড়া মাইমলহাটি এলাকার মোস্তফা কামাল মস্তুর ছেলে।
নিহত সাদ্দাম ছাত্রদলের সাবেক কর্মী। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা রয়েছে।
আরও পড়ুন: অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করলো বিজিবি
নিহতের বাবা মোস্তফা কামাল মস্তু জানান, রাত দেড়টার দিকে তার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় দিলীপ, বাবুল ও পলাশ। তাদের সঙ্গেই তার চলাফেরা ছিল। পরে খালপাড় মসজিদের কাছে তার ছেলেকে মেরে ফেলে রাখা হয়েছে—এ খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তার ছেলের গলা কাটা হয়েছে এবং বুকে গুলি করা হয়েছে। সাদ্দাম বিবাহিত। তার দুটি সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লায়ন শাকিল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ গ্রুপের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে ওই দিন সন্ধ্যায় শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ মোট পাঁচজন আহত হয়।
আরও পড়ুন: জামালপুরের আলোচিত মনিরুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার
এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে একই এলাকায় রবিন ও রিজন নামে দু'ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এ সময় রবিনের মোটরসাইকেল ও তার কাছ থেকে নগদ দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায় হামলাকারীরা। আহত দু'ভাইকে রাতে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। রাতের ঘটনায় আহত দু’জনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।





