কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন অচল

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৩ অপরাহ্ন, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১২:৪৩ অপরাহ্ন, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন প্রায় থমকে গেছে। শীতের প্রকোপ বাড়ায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষরা। সকাল থেকেই দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় সড়কে যানবাহনগুলোকে বাধ্য হয়ে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা বাড়ার সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।

আরও পড়ুন: গাজীপুর জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়: আসন্ন নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান

যাত্রাপুর ইউনিয়নের আমেনা বেগম জানান, “কয়েক দিন ধরেই বাচ্চার জ্বর-সর্দি। ঠান্ডা আর কুয়াশার কারণে হাসপাতালে নিতে বাধ্য হয়েছি।”

চিলমারী উপজেলার মফিজুল হক বলেন, শীত এলেই আমাদের নদীতীরের মানুষের কষ্ট বাড়ে। ঘর থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে, কাজ কামাই ঠিক মতো করা যায় না। হাত-পা জমে আসে ঠান্ডায়।

আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও লুটপাট গুলিবিদ্ধ ১, আহত ৫

কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস সতর্ক করে বলেন, তীব্র ঠান্ডায় সর্দি-কাশি, ফ্লু, ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি ও হুপিং কাশির মতো রোগ বাড়তে পারে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, ঘন কুয়াশার কারণে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। শীতের তীব্রতা আগামী দিনগুলোতে বাড়বে বলেও তিনি আশা করছেন।