ড্রিমল্যান্ড গেস্ট হাউজে রুম ভাড়ার আড়ালে চলছে অনৈতিক কর্মকাণ্ড

AK Azad
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৯:৩০ অপরাহ্ন, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১২:০০ পূর্বাহ্ন, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের জিরানি বাজার এলাকায় অব‌স্থিত ড্রিমল্যান্ড গেস্ট হাউজ। এটি গেস্ট হাউজ বা হো‌টেল মনে হ‌লেও অভিযোগ র‌য়ে‌ছে‌ রুম ভাড়ার পাশাপাশি নারী যৌনকর্মী দিয়ে দেহব্যবসা করে আস‌ছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ।

বিভিন্ন সময় বিভি-ন্ন কৌশল পরিবর্তন করে প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীদের ম্যানেজ করেই চলছে এ ব্যবসা। বিষয়টি ইতিপূর্বে কখনোই স্বীকার করেননি কর্তৃপক্ষ,তবে এবার দেহব্যবসার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ড্রিমল্যান্ড গেস্ট হাউজের ম্যানেজার আশরাফ আলী

ড্রিমল্যান্ড গেস্ট হাউজের মালিক ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা গাজী মনির বলেন,আমার কারো সাথে সম্পর্ক খারাপ না, আমি হোটেল ব্যবসা করি। ড্রিমল্যান্ড গেস্ট হাউস আমারই,কোন সাংবাদিক আমার কাছ থেকে টাকা ছাড়া ফিরে গেছে এমন লোক কমই আছে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠান থেকে গত মাসে ১ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জনকে।

গত বুধবার ৯ এপ্রিল সারাদিনব্যাপী ও রাত দশটা পর্যন্ত ড্রিমল্যান্ড গেস্ট হাউসে ২৯ জোড়া যুবক-যুবতী ও কিশোর-কিশোরীসহ নারী যৌনকর্মীরা প্রবেশ করে। তাদের সবাইকে রুমভাড়া দেয় গেস্ট হাউসটির মালিক গাজী মনির ও ম্যানেজার আশরাফ আলী।

এছাড়াও শুধুমাত্র রুম ভাড়া দেওয়া হলে নেওয়া হয় ১ হাজার ২০০ টাকা। পাশাপাশি রুমের সাথে যদি নারী যৌনকর্মী দেওয়া হয় তাহলে সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা নেওয়া হয় বলে জানান ড্রিমলান্ড গেস্ট হাউজের ম্যানেজার আশরাফ আলী। এভাবেই রুমভাড়ার মাধ্যমে এলাকার এবং বহিরাগত যুবক-যুবতী ও কিশোর-কিশোরীদের অনৈতিক কা‌জে সহায়তা করছেন ড্রিমল্যান্ড গেস্ট হাউজটির কর্তৃপক্ষ।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের ১নং ওয়ার্ডের জিরানি বাজার এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন মালিকপক্ষ ক্ষমতার বীর দাপটেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় পাহারা দিয়ে বাহিরে দালাল চক্রের মাধ্যমে হোটেল মালিক ও ম্যানেজার এক ধরনের সিন্ডিকেট তৈরি করে নারী যৌনকর্মীদের দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন।

অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সাংবাদিকরা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানিয়ে বহুবার অবহিত করা হয়েছে। অদৃশ্য দেন-দরবারের কারণে স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতির খবর পেলেই কৌশলে ভবনের গেট বন্ধ করে,পিছনের গেট দিয়ে হোট‌লে আগত‌দের বাহিরে বের করে দিয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে হো‌টেল কর্তৃপক্ষ। এ ধরনের চোর পুলিশ খেলা কত দিন চলমান থাকবে এমন প্রশ্ন এলাকাবাসীর।

প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপে তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে এধর‌নের অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ হবে- এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় স‌চেতন মহ‌লের।