ভেরিফিকেশন হয়রানি বন্ধের দাবিতে ডাকসু–রাকসু–চাকসু–জাকসুর যৌথ বিবৃতি
১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত ১০২ জনের মধ্যে ১৩ জনকে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ প্রকাশ না করে পুলিশ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে গেজেট থেকে বাদ দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ডাকসু), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাকসু), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চাকসু) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাকসু) কর্তৃপক্ষ।
যৌথ বিবৃতিতে চার ছাত্র সংসদ জানায়, বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা রয়েছেন। তারা কঠোর প্রস্তুতি ও প্রতিযোগিতা অতিক্রম করে কমিশনের সুপারিশে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। কারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ গেজেট থেকে বাদ দেওয়াকে মেধাবির প্রতি নির্মম অবিচার হিসেবে উল্লেখ করেছে ছাত্রসংসদগুলো।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষের আইবিএ এমবিএ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রদান সাংবিধানিক অধিকার, যেখানে পারিবারিক বা বংশগত রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা সুশাসন ও নিরপেক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থার পরিপন্থী।
জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী সময়েও অনেক দক্ষ ও যোগ্য প্রার্থীকে পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে বলে দাবি করে ছাত্রসংসদগুলো জানায়, এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার পথে বড় বাধা।
আরও পড়ুন: জ্যোতির্বিদদের অনুসন্ধানে উন্মোচিত মহাবিশ্বের রহস্য
দাবি ও আহ্বান
ডাকসু, রাকসু, চাকসু এবং জাকসুর নেতারা আইন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন (বিজেএসসি), বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তিনটি জরুরি দাবি উত্থাপন করেন—
১. ১৭তম বিজেএসের সংশোধিত গেজেট প্রকাশ: বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের কোনো প্রমাণ না থাকলে দ্রুত সংশোধিত গেজেট প্রকাশ করতে হবে।
২. সকল চাকরিতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিতকরণ: বিজেএস, বিসিএসসহ রাষ্ট্রীয় সকল নিয়োগে মেধা ও যোগ্যতাকে একমাত্র মানদণ্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৩. পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে হয়রানি বন্ধ: কাউকে গেজেট থেকে বাদ দেওয়া হলে সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে হবে এবং নিজেকে প্রমাণের সুযোগ দিতে হবে। অভিযোগ প্রমাণিত না হলে দ্রুত গেজেটভুক্ত করতে হবে।
যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দীর্ঘ প্রস্তুতি, মেধা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা বা হয়রানি তাদের স্বপ্ন ভঙ্গের শামিল।





