কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম আভায় সেজেছে জবি ক্যাম্পাস

বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত কৃষ্ণচূড়া ফুল। কবি সাহিত্যিকদের কবিতা-গানে বারবার ফুটে উঠেছে এর অপরূপ সৌন্দর্য। বৈশাখের শেষ প্রান্তে যখন প্রকৃতি সজ্জিত হয় নতুন রঙে, তখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাস কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম আভায় ঝলমলে হয়ে ওঠে। বিজ্ঞান অনুষদ, শান্ত চত্বর, রফিক ভবন, কলা অনুষদ এবং দ্বিতীয় ফটকের সামনে রক্তিম লাল হয়ে রয়েছে অগণিত কৃষ্ণচূড়া গাছ। মনে হয় যেন প্রকৃতির এক অপূর্ব স্বর্গরাজ্য নেমে এসেছে জবি ক্যাম্পাসে। ইট-পাথরের এই ক্যাম্পাসকে আরও রঙিন করে তুলেছে এই ফুল। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, গ্রীষ্মের রোদে ঝলমলে হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাসের প্রতিটি কোণ।
আরও পড়ুন: ১ ফেব্রুয়ারি থেকে একুশে বই মেলা শুরু
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, কৃষ্ণচূড়া গাছের আদিনিবাস আফ্রিকার মাদাগাস্কার। এটি গুলমোহর নামেও পরিচিত। তবে বাংলাদেশে কৃষ্ণচূড়া নামেই বেশি পরিচিত এই ফুল। বর্তমানে মাদাগাস্কারে বিলুপ্তির পথে থাকলেও, বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশেই পাওয়া যায় এই সুন্দর ফুল। সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি উষ্ণ আবহাওয়ায় ছায়া দিতেও উপযুক্ত কৃষ্ণচূড়া গাছ।
জবি ক্যাম্পাসে কৃষ্ণচূড়া গাছের সারিবদ্ধ সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন শিক্ষার্থীরা। রক্তিম লাল ফুলের সাথে ছবি তোলা, গাছের নিচে বসে আড্ডা দেওয়া, পড়ে থাকা ফুলের পাপড়ি সংগ্রহ করা - এসবই এখন জবি ক্যাম্পাসের নিয়মিত দৃশ্য। শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, দর্শনার্থী ও সদরঘাটগামী যাত্রীরাও মুগ্ধ হয়ে দেখেন ক্যাম্পাসের এই রঙিন সৌন্দর্য।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে চালু হচ্ছে ঘরে বসে টিকিট কাটার সুবিধা
বিশ্ববিদ্যালয় সম্পদ দপ্তরের সূত্রে জানা যায়, বিজ্ঞান অনুষদের বেশিরভাগ কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগানো হয়েছিল জগন্নাথ কলেজ থাকাকালীন। এছাড়াও, একাডেমিক ভবন ও দ্বিতীয় ফটকের গাছগুলো ২০০৮ সালের পর লাগানো হয়েছে। বাকি গাছগুলো শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লাগিয়েছে।ক্যাম্পাসের শান্ত চত্বরে অবস্থিত একটি শতবর্ষী কৃষ্ণচূড়া গাছ 'লাল সুন্দরী' নামে পরিচিত।
ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী মেজবা উদ্দিন জবি ক্যাম্পাসের কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য্য প্রকাশ করে বলেছেন, "ক্যাম্পাসের থোকা থোকা কৃষ্ণচূড়া ফুল আমাদের চমৎকার সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ করে দিচ্ছে। এখন ক্যাম্পাসে গেলে মনে হয় ফুলের স্বর্গ রাজ্যে বিচরণ করছি। মনের অজান্তেই কৃষ্ণচূড়া ফুল হৃদয়ে নাড়া দিয়ে যায়।"
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ওমর ফারুক বলেন, ক্যাম্পাসের অনেকই কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ফুলের সাথে ছবি তোলা, গাছের নিচে বসে আড্ডা দেওয়া, পড়ে থাকা ফুলের পাপড়ি সংগ্রহ করা - এসবই এখন জবি ক্যাম্পাসের নিয়মিত দৃশ্য। কৃষ্ণচূড়া ফুল ক্যাম্পাসের পরিবেশকে আরও মনোরম করে তুলেছে। এই ফুল শুধু সৌন্দর্যই বর্ধন করে না, বরং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।