স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এআই ব্যবহার নিয়ে দুশ্চিন্তায় ডব্লিউএইচও

স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সে (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার জনস্বাস্থ্যে কোনোরূপ ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে আসবে কি না তা সে বিষযে প্রশ্ন উঠেছে। আর এই আশঙ্কাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আমলে নিয়েছে, উড়িয়ে দেয়নি।
এআই নিয়ে সতর্ক করে দিয়ে মঙ্গলবার (১৬ মে) ডব্লিউএইচও জানায়, যে ডেটার ওপর ভিত্তি করে এআই সিদ্ধান্ত নেয়, তাতে থাকতে পারে ভুলভ্রান্তি, পক্ষপাতিত্ব। আর সেই সব ‘ডেটা ইনপুট’ সাবধানতার সাথে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার না করলে এআই এর ব্যবহারিক ফল খুবই খারাপ হবে।
আরও পড়ুন: ৩৩ ধরনের ওষুধের দাম কমালো, সাশ্রয় ১১৬ কোটি টাকা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদেরকে এআই ব্যবহারে কি ঝুঁকি আছে তা পূর্বেই দেখে নিতে হবে । যদি দেখা যায়, চ্যাট-জিপিটি, বার্ড-এর মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার আসলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে মানবকল্যাণ বয়ে আনছে না, তবে তা সমর্থনযোগ্য নয়। একে হতে হবে জনস্বাস্থ্যের অভিসারী, সামাজিক কল্যাণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, দায়িত্বশীল, মানবিক, সুস্থিত উন্নয়নের উপযোগী ।
ডব্লিউএইচও বিবৃতিতে জানিয়েছে, এআই ব্যবহার কীভাবে চিকিৎসায় করা হচ্ছে তা বিবেচনা করা খুবই জরুরি। তাদের বক্তব্য, যেকোনো নতুন প্রযুক্তি তার ভালো-মন্দ বিচার করে সাবধানে ব্যবহার করতে হয়, তেমন সতর্কতা জরুরি এআই-এর ক্ষেত্রেও।
আরও পড়ুন: ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল ও ভ্যাট ফোরামের স্বাস্থ্যচুক্তি
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ব্যবহৃত ডেটা যেন নিরপেক্ষ, পরীক্ষিত ও স্বচ্ছ হয়, বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে। নইলে হিতে বিপরীত হবে, রোগীর মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে।