ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ আঘাত হানলো অন্ধ্র প্রদেশে, নিহত ১, আহত ২
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। এর প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র ঝড়-বৃষ্টি, গাছপালা উপড়ে পড়া এবং ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে কনাসিমা জেলায় একটি বাড়ির ওপর গাছ পড়ে এক বৃদ্ধা নারী নিহত হয়েছেন। একই জেলায় এক শিশুকে ও এক অটোরিকশা চালককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়। মন্থা ৯০-১০০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ কাকিনাডা ও মাচিলিপটনাম উপকূল অতিক্রম করে। প্রায় ১১০ কিমি পর্যন্ত গতি বৃদ্ধির আশঙ্কাও ছিল।
আরও পড়ুন: 'ফিফা শান্তি পুরস্কার’ পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কাকিনাডা, কৃষ্ণা, এলুরু, পূর্ব গোদাবরী, পশ্চিম গোদাবরী, ড. বি.আর. আম্বেদকর কনাসিমা এবং অলুরি সীতারামারাজু জেলার কয়েকটি এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্ধ্র প্রদেশ সরকার মঙ্গলবার রাত ৮টা ৩০ মিনিট থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করে।
প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের ২২ জেলার ৪০৩টি মণ্ডল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে। ধান ও শাকসবজির ক্ষেত বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলে পানিবন্দি ও ফসলের বড় ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকদের সম্ভব হলে খেত থেকে অতিরিক্ত পানি সরিয়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডনবাস ইস্যুতে কোনো ছাড় নয়, কঠোর অবস্থানে পুতিন
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দ্রুত স্বাভাবিক করতে প্রশাসন ১,৪৪৭টি আর্থমুভার, ৩২১টি ড্রোন এবং ১,০৪০টি চেইনসো প্রস্তুত রেখেছে। এছাড়া ৮১টি ওয়্যারলেস টাওয়ার ও ২১টি উচ্চক্ষমতার লাইট স্থাপন করা হয়েছে যাতে জরুরি যোগাযোগ স্বাভাবিক থাকে।
এদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বর্ষণ রেকর্ড করা হয়েছে। নেল্লোর জেলার উলাভাপাডুতে ১২.৬ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা এদিন সর্বোচ্চ। ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণে মুখ্যমন্ত্রী এন. চন্দ্রবাবু নাইডু পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।





