ফিলিস্তিনি পাসপোর্টধারীসহ ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
ফিলিস্তিনি পাসপোর্টধারী ব্যক্তিদের পাশাপাশি আরও সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলো হলো— বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার, দক্ষিণ সুদান, সিয়েরা লিওন, লাওস এবং সিরিয়া। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতীয় ও জননিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় এনে স্ক্রিনিং, যাচাই-বাছাই ও তথ্য আদান-প্রদানে গুরুতর ঘাটতির কারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে একই পরিবারের ৩০ ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নাগরিকদের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা যাচাই নিশ্চিত করা সম্ভব না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষার স্বার্থে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নতুন এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ১৯টি দেশের নাগরিকদের অভিবাসন-সংক্রান্ত সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করে। সেই তালিকায় ছিল আফগানিস্তান, মিয়ানমার, ইরান, সোমালিয়া, ইয়েমেনসহ একাধিক দেশ। পরে ডিসেম্বরে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম জানান, এই নিষেধাজ্ঞার তালিকা বাড়িয়ে অন্তত ৩২টি দেশে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের সামুদ্রিক ড্রোন হামলায় রাশিয়ার সাবমেরিন ক্ষতিগ্রস্ত
বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডি বিচে সংঘটিত বন্দুক হামলায় ১৫ জন ইহুদি নিহত হওয়ার ঘটনার পর ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া অনেকটাই অনুমেয় ছিল। তবে সিরিয়ার নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টি তুলনামূলকভাবে অপ্রত্যাশিত বলে মনে করছেন অনেকে।
কারণ, অল্প কিছুদিন আগেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ শারা হোয়াইট হাউসে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন। সাবেক আল-কায়েদা সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তার ওপর থাকা মার্কিন নিষেধাজ্ঞাও ওই সফরের আগে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
তবে সম্প্রতি সিরিয়ায় আইএসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও একজন দোভাষী নিহত হওয়ার ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ট্রাম্প প্রশাসন। ওই ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ‘কঠোর প্রতিক্রিয়া’ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ ও অস্থিরতা থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়ায় থাকা সিরিয়ার এখনো কার্যকর কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্ভরযোগ্য নাগরিক নথিপত্র ব্যবস্থার ঘাটতি রয়েছে। ফলে যথাযথ নিরাপত্তা যাচাই নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।





