নিউইয়র্কে সাবের চৌধুরীর সাথে জাপানের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক

টেকসই উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ: পরিবেশমন্ত্রী

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৪৮ অপরাহ্ন, ১৬ জুলাই ২০২৪ | আপডেট: ৪:০২ অপরাহ্ন, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশে সবুজ বিনিয়োগ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে সবুজ, টেকসই ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে জাপানের অব্যাহত সহায়তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিকে সহিষ্ণুতা এবং তারপর সমৃদ্ধিতে রূপান্তরিত করার জন্য জাপানকে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (MCPP) বাস্তবায়িত করতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সাবের হোসেন চৌধুরী। 

গত সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে জাপানের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী মটোমে তাকিসাওয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।   

আরও পড়ুন: জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ, উচ্চপদস্থ তদন্ত বোর্ড গঠন

সাবের চৌধুরী আগামী এনডিসি এবং নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মিথেন হ্রাস লক্ষ্য পূরণে জাপানের সহায়তা কামনা করেন। মন্ত্রী গবেষণা, জ্ঞান ভাগাভাগি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা কামনা করেন।  তিনি প্রস্তাব করেন যে, পরিবেশ অধিদপ্তরের অধীনে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে জয়েন্ট ক্রেডিটিং মেকানিজমের (জেসিএম) মাধ্যমে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো যেতে পারে। 

প্রতিমন্ত্রী তাকিসাওয়া এশিয়া প্যাসিফিক ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপ্টেশন ইনফরমেশন প্ল্যাটফর্ম (এপি-প্ল্যাট) এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন প্রযুক্তির কথাও উল্লেখ করেন, যা বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হতে পারে। 

আরও পড়ুন: সংস্কার করে কালক্ষেপণ করলে ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনবে: রুহুল কবির রিজভী

উভয় পক্ষই আসন্ন বহুপাক্ষিক আলোচনা, যেমন, জীববৈচিত্র্য সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশন (ইউএনসিবিডি), ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অব ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি), এবং জাতিসংঘের কনভেনশন অন কমবেটিং ডেজার্টিফেশন (ইউএনসিসিডি) এর সাথে সাথে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা করেন।  এসময় প্লাস্টিক চুক্তি এবং অভিন্ন উদ্বেগের বিষয়ে উভয় দেশের অবস্থানের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়। 

মন্ত্রীরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থাসহ বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং নীতিগতভাবে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ককে আরও গভীর করতে সহযোগিতার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সাথে এগিয়ে যেতে সম্মত হন।

পরে, মন্ত্রী স্টপ ইকোসাইড ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জোজো মেহতার সাথে একটি বৈঠক করেন এবং বড ধরনের পরিবেশগত অপরাধ মোকাবেলায় ইতিবাচক অগ্রগতি এবং এই বিষয়ে জাতীয় আইনগুলি উন্নত করার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।