বায়তুল মুকাররমের খতিব মুফতি রুহুল আমিন অপসারিত

বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৮:০১ অপরাহ্ন, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, ০৬ অগাস্ট ২০২৫
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক খতিব মুফতি মোঃ রুহুল আমিন। ছবিঃ সংগৃহীত
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক খতিব মুফতি মোঃ রুহুল আমিন। ছবিঃ সংগৃহীত

বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি  মোঃ রুহুল আমিনকে খতিবের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। 

রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন ইসলামিক ফাউণ্ডেশন থেকে এসংক্রান্ত পরিপত্র জারী করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে একযোগে ২৯ কর্মকর্তার বদলি

ইফা কর্তৃক জারীকৃত এই পত্রে বলা হয়েছে-বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ-এর খতিব আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন তাঁর দায়িত্ব পালনকালে মাঝে মাঝে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতেন। সর্বশেষ গত ১৯/০৭/২০২৪, ০২/০৮/২০২৪, ০৯/০৮/২০২৪, ১৬/০৮/২০২৪ ও ২৩/০৮/২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ শুক্রবারের জুমা'র নামাজে অনুপস্থিত থাকায় গত ২৯/০৮/২০২৪ তারিখে স্মারক নং-১৬.০১.০০০০.০২৭.০৫.০০৮.২২.১৭৭৬ মারফত এ কার্যালয় হতে তাঁকে কারণ দর্শানো হয়। এছাড়া গত ২০/০৯/২০২৪ তারিখ জুম্মার নামাজ পড়াতে তাঁর মসজিদে আগমন এবং খুতবা দেয়ার চেষ্টাকালে এক অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ তদন্ত কমিটি আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন ও তাঁর অনুগত ছাত্র/বহিরাগত লোকদের দ্বারা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায় সুষ্ঠুভাবে জুম্মার নামাজ পরিচালনার স্বার্থে তাঁকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে একজন যোগ্য আলেমকে খতিব হিসেবে নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য  সুপারিশ করে।


আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট ঘিরে আ. লীগ-ছাত্রলীগকে সড়কে নামতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি কমিশনার

এছাড়া, আল্লামা মুফতি রুহুল আমিনের প্রতি সাধারণ মুসল্লীদের অনাস্থা তৈরি হয়েছে এবং ভবিষ্যতে তিনি জুম্মার নামাজ পড়াতে আসলে আবারো হৈচৈ- হট্টগোলসহ অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা থাকায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের "খতিব" পদ হতে অপসারণের প্রস্তাব যথাযথ কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করেন।

এ অবস্থায়, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সুষ্ঠুভাবে জুম্মার নামাজ পরিচালনার স্বার্থে আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন, মুহতামিম, গহরডাঙ্গা মাদ্রাসা, গোপালগঞ্জ-কে নির্দেশক্রমে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ-এর "খতিব" পদ হতে অপসারণ করা হলো।