দেশে ফিরলেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:১৯ অপরাহ্ন, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১:০৬ অপরাহ্ন, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রায় সাড়ে ৫ বছর প্রবাসে নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে শুক্রবার সকালে দেশে ফিরেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। শুক্রবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে কাতার এয়ার লাইন্সের ফ্লাইটে তুরস্ক থেকে হয়রত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান।

বিমান বন্দরে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতৃ্বৃন্দরা তাকে অভ্যর্থনা জানান।

আরও পড়ুন: তফসিল ও ভোটের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান ইসির

বিমানবন্দরের বাইরে সহাস্রাধিক ছাত্র-জনতা সমবেত হয়ে মাহমুদুর রহমানকে শুভেচ্ছা জানাতে। তিনি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে গাড়িতে খোলা ছাদে দাঁড়িয়ে সমর্থন-শুভাকাঙ্খিদের হাতে নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।

বিমান বন্দরের বাইরে সহাস্রাধিক ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে মাহমুদুর রহমান সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘‘ এক সময় বাংলাদেশের যে তরুন কিউবার বিপ্লবের নায়ক চেবুরাকে বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করত সেই বাংলাদেশের তরুন এখন আবু সাঈদকে তাদের আদর্শ হিসেবে জানে।”

আরও পড়ুন: চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করলেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হবে খালেদা জিয়াকে: মির্জা ফখরুল

‘‘গত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আমি আমার মতো করে ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে লড়াই করে গেছি। রাজনৈতিক দল বিএনপি বলেন, জামায়া্ত বলেন, অন্যান্য দল বলেন তারা তাদের মতো করে লড়াই করেছে।আর আমি লড়াই করেছি আমার মতো করে ‘আমার দেশ’ পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে। আমার লড়াই ছিলো বুদ্ধিবৃত্তির লড়াই, আমার লড়াই ছিলো কালচারের লড়াই।”

আমার দেশ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী ‘‘ মাহমুদুর রহমান ভাই দেশে ফিরেছেন। উনার মা খুব অসুস্থ… তাকে দেখতে উনি হাসপাতালে যাচ্ছেন।”

সত্য সংবাদ প্রকাশ করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়েন মাহদুর রহমান। তার বিরুদ্ধে সারাদেশে ১২৪ টির অধিক মামলা দায়ের করা হয়। একটি মামলায় মাহমুদুর রহমান ও তার স্ত্রীকে ৭ বছর কারাদণ্ড দেয় আদালত।

মিথ্যা মামলায় তাকে কারা নির্যাতনও ভোগ করতে হয়। প্রথম দফায় ২০১০ সালের জুন মাসে এবং দ্বিতীয় দফায় ২০১৩ সালের এপ্রিলে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং তার সম্পাদিত আমার দেশ পত্রিকার সরকার বন্ধ করে দেয়। গ্রেফতারের পর তাকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে।