টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলা
সাবেক এমপি রানাসহ খান পরিবারের সবাই খালাস

টাঙ্গাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলায় ১৪ জন আসামির মধ্যে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া এই মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা এবং তার তিন ভাইসহ ১০ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার সময় জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল হাসান এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্ট ঘিরে আ. লীগ-ছাত্রলীগকে সড়কে নামতে দেওয়া হবে না: ডিএমপি কমিশনার
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সাঈদুর রহমান স্বপন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কবির হোসেন ও মোহাম্মদ আলী। এদের মধ্যে কবির হোসেন পলাতক রয়েছেন ও মোহাম্মদ আলী কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: সরকারি প্রশিক্ষণে বাড়লো ভাতা ও সম্মানী
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা হত্যাকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
পরে ২০১৬ সালে ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় তদন্ত কর্মকর্তা। আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে দুজনের যাবজ্জীবন ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা। অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি আসামিদের খালাস দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় সহিদুর রহমান মুক্তি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।