আন্দোলন পরবর্তী সংস্কার প্রক্রিয়া
আজ থেকে নতুন ইউনিফর্মে মাঠে নামছে পুলিশ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের অভিযোগ উঠার পর থেকেই সংস্থাটিকে পুনর্গঠন এবং ইউনিফর্ম পরিবর্তনের দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। সেই সমালোচনার প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন পোশাক ব্যবহারের অনুমোদন দেয়, যা শনিবার (১৫ নভেম্বর) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো।
তবে শুরুতেই সব সদস্যের জন্য নয়—রেঞ্জ এবং মহানগর এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সীমিতভাবে পোশাকটি সরবরাহ করা হচ্ছে। নতুন এই ইউনিফর্মে দীর্ঘদিনের নীল-সবুজ রঙের ব্যবহার বাদ গেছে; এর জায়গায় এসেছে নতুন রঙের নকশা।
আরও পড়ুন: তফসিল ও ভোটের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান ইসির
ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার তালেবুর রহমান জানান, আজ থেকেই নতুন পোশাক ব্যবহারে যাত্রা শুরু হয়েছে। ধাপে ধাপে সবাইকে এই পোশাক দেওয়া হবে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি কাজী রফিক আহমেদ বলেন, নতুন পোশাক এখনো থানায় পৌঁছায়নি, তবে অল্প সময়ের মধ্যেই পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করলেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হবে খালেদা জিয়াকে: মির্জা ফখরুল
১১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী নতুন পোশাক অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুধু পুলিশ নয়—র্যাব ও আনসারের জন্যও পৃথক ইউনিফর্ম চূড়ান্ত হয়েছে। সবকিছু একসঙ্গে বাস্তবায়ন নয়, ধীরে ধীরে কার্যকর করা হবে। তিনি আরও বলেন, পোশাকের পাশাপাশি বাহিনীর সদস্যদের মানসিকতার পরিবর্তনও জরুরি।
তথ্য অনুযায়ী, তিন বাহিনীর নতুন পোশাক প্রস্তুত করতে ব্যয় হবে প্রায় ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা।
অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মত, শুধুমাত্র ইউনিফর্ম পরিবর্তনেই কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যাবে না। তাদের মতে, পুলিশের আচরণগত সংস্কার না ঘটলে নতুন পোশাক সরকারের বাড়তি ব্যয় ছাড়া আর কোনো বাস্তব সুফল দেবে না। তাই পোশাক পরিবর্তনের সঙ্গে সদস্যদের মনোভাব ও পেশাদারি সংস্কারকেই তারা মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন।





