দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান ফারুকের

বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৬:২৫ অপরাহ্ন, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১:২০ অপরাহ্ন, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। বলেছেন, এখন জনগণের দাবি একটাই, আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) জঞ্জাল পরিষ্কার করুন। কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের সুযোগ দিন, যারা সংসদে গিয়ে সংবিধান প্রণয়ন ও পরিবর্তন করবে। তাই অনতিবিলম্বে নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ দিন। 

সোমবার  জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন। এতে ২০০৮-২৪ পর্যন্ত বিনা ভোটে নির্বাচিত দুর্নীতিবাজ এমপিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। কর্মসূচির আয়োজন করেন জাতীয়তাবাদী নবীন দল।

আরও পড়ুন: রুকন না হলে চাকরি থাকবে না বলেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি: রিজভী

জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, ইলিশ মাছ তো পাঠালাম। আরো বেশি পাঠালে বেশি বেশি পানি ছেড়ে দিতে পারতো। বন্ধুবর ভারতকে আমরা প্রতিদিন বলে যাচ্ছি, বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের কাছে গণতান্ত্রিক অধিকার, আপনাদের দেশের মতো নির্বাচন আশা করেছিল। কিন্তু আপনারা বাংলাদেশে এমন এক ব্যক্তিকে, এমন এক দলকে সহযোগিতা করেছেন, যারা এক মিনিটে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। অসংখ্য মায়ের বুক খালি করেছে। সকল নির্বাচনকে কুক্ষিগত করেছে। অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকরীদের গুলি করে মেরেছে। আবরারকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে খুন করেছে। বিশ্বজিতকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তারা দেশ থেকে ৯৯ হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়েছে। কেড়ে নিয়েছে মানুষের কথা বলার অধিকার। আপনাদের উচিত শতাধিক মামলার আসামি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো। তিনি বলেন, এখনো আবু সাঈদ, খোকন, মুগ্ধর রক্তের গন্ধ নাক থেকে যায়নি। অথচ এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের দুঃসহচর আমাদের প্রিয় খাগড়াছড়ি, রাঙামাটিকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাই ভারতকে বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করতে পারে না। আমরা আশা করেছিলাম শেখ হাসিনাকে আপনারা অবিলম্বে হস্তান্তর করবেন। কিন্তু সেই বিশ্বাস এখনো অর্জন করতে পারেননি। যদি বাংলাদেশ ও মানুষকে ভালোবাসেন তাহলে আপনাদের উচিত বাংলাদেশের যারা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের এক এক করে হস্তান্তর করা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে ফারুক বলেন, আপনি মনে করেছেন, আবার আপনি বাংলাদেশে ফিরে আসবেন, দেশে আবার রাজনীতি করবেন। যদি এটি সত্যি চাইতেন, তাহলে পদত্যাগ করার পর পায়ে হেঁটে জেলখানায় যেতেন। আপনার ভাষায়, আপনার কথায় যদি আপনার লাখো কর্মী থেকে থাকে, উন্নয়নের কথা বলে যে আস্ফালন আপনি করেছিলেন, সেটা যদি আপনার মধ্যে থাকতো, তাহলে পালিয়ে যেতেন না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, যত অস্থিরতাই তৈরি করুক আওয়ামী লীগ, তাদের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র আছে, অজস্র টাকা আছে, তারা এখনো সংঘঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের চোখ, কান খোলা রাখতে হবে। জাতীয়তাবাদী নবীণ দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল রানার সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সফু, জাতীয়তবাদী ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আলমগীর হোসেন, কৃষক দলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কাদের সিদ্দিকী, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।

আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান