বিচারের কথা বলে দ্বিচারিতা করা হচ্ছে: ইশরাক

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৭:৪১ অপরাহ্ন, ২৬ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১:৪৪ অপরাহ্ন, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপিত হলে সেখানেও আপত্তি আসে। তার মানে তাদের ভিতরেও এ বিষয়টি দ্বিবিভক্ত। 

তিনি বলেন, ৮ মাস অতিবাহিত হলেও গণহত্যার বিচার হচ্ছে না। সকল হত্যাকারীর ভিডিও ফুটেজ আছে। শেখ হাসিনার নির্দেশনার বক্তব্য রয়েছে। বিচারও করছেন না, আবার বলছেন বিচার না হলে নির্বাচন হবে না। এ দ্বিচারিতা জনগণ বুঝে।

আরও পড়ুন: মেডিকেল বোর্ডের অনুমতি পেলেই ঢাকায় আসবে কাতারের রয়েল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

বুধবার রাজধানীর গোপীবাগে সাদেক হোসেন খোকা স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্যে কামনায় এক দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। 

ইশারক হোসেন বলেন, ৫ আগস্টের রক্তাক্ত বিপ্লবের পর দেশের অতীত ইতিহাস মুছে ফেলার চক্রান্ত হয়েছে। বলা হয়েছে দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। আসলে আমরা স্বাধীনতা ফেরত পেয়েছি। প্রকৃত স্বাধীনতা আমরা ৭১ সালেই অর্জন করেছি। মূলত ৭১-এর পরাজিত শত্রুরাই এগুলো বলে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। ৭১ আর ২৪ এক বিষয় নয়। বরং এসব বলে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিহত লাখো শহিদ এবং যাদের সম্ভ্রমহানি হয়েছে তাদের অসম্মান করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে জনমনে উদ্বেগ বেড়েছে

তিনি বলেন, কেউ কেউ বলছেন জুলাই বিপ্লবে তারা একাই করেছেন। আর কেউ ছিল না। এগুলো ৭১-সালের পরাজিত শক্তির বক্তব্য। বিএনপি ও ছাত্রদলই এ আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলো। ৭১-এর কৃতিত্ব যেভাবে হাসিনা এককভাবে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলো, একই কায়দায় কেউ কেউ নিজ কৃতিত্ব জাহির করার অপচেষ্টা করেছেন। 

প্রকৌশলী ইশরাক বলেন, গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ ভোট। যা আমাদের অধিকার। আজকে এ কারণে ও কারণে নির্বাচন দেওয়া যাবে না। আমাদের অধিকার নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেললে আমরা ঘরে বসে থাকবো না। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে বিএনপি। এ দলটি প্রতিষ্ঠা করেছে রণাঙ্গনের সম্মুখ যোদ্ধারা। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে চললেও সে দলের নেতৃত্বে কোন সম্মুখ যোদ্ধা নেই।

তিনি বলেন, যে যেভাবে পারছে তাই করছে। চারিদিকে দাবিদাওয়ার নামে রাস্তা অবরোধ, যে যেদিকে পারছে দোকান বসাচ্ছে, একে মারছে, ওর ওপর হামলা হচ্ছে। এভাবে অব্যাহত থাকলে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ পাবে। তৃতীয় পক্ষ যারা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে তাদের কোনোভাবেই সফল হতে দেওয়া হবে না।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক পাভেল সিকদারের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহবায়ক সুমন ভূইয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রহিম ভূইয়া, বিএনপি নেতা সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলু, মাশরুল হোসেন প্রমুখ।