জুমা বা শুক্রবার কেন উত্তম জানুন ইসলামের আলোকে

Any Akter
মোস্তাফিজুর রহমান খান
প্রকাশিত: ২:১৯ অপরাহ্ন, ১৭ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২:১৯ অপরাহ্ন, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রতিটি বিষয়েই তার নিজস্ব নিয়মে তৈরি করেছেন। আকাশ দুনিয়া পরিচালনায় সৃষ্টির পর থেকেই কেয়ামত পর্যন্ত একটি বৈশিষ্ট্যে চলমান।  প্রত্যেকটি বিষয়ে কাউকে কারো ওপর প্রাধান্য দেওয়া। প্রত্যেকের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী দেয়া হয়েছে। কোন মানুষকে মানুষের উপর, সৃষ্টির উপর,  স্থান কে স্থানের উপর, সময়কে সময়ের উপর  তেমনি বারকে বারের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। মুসলমানদের জন্য শুক্রবার সাপ্তাহিক ঈদের দিন। হিজরতের পর রাসুল (সাঃ) মদিনায় সর্বপ্রথম জুমার নামাজ চালু করেন। মুসলমানদের জন্য সাপ্তাহিক ঈদ জুমা তাকওয়ার সাথে উদযাপন করে।

যেহেতু এ দিনে মানুষ আল্লাহর হুকুম পালনের লক্ষ্যে আল্লাহর ঘরে জমায়েত হয়, এ জন্য একে জুমুআ বলা হয়। জুমুআ তথা শুক্রবারের কথা কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, যখন তোমাদের শুক্রবার দিন নামাজের দিকে ডাকা হয়, তখন আল্লাহর জিকিরের দিকে ধাবিত হও।

আরও পড়ুন: কঠিন রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমুআ, আয়াত : ৯)

বিভিন্ন হাদিসেও শুক্রবারের উল্লেখ আছে। যেমন—

আরও পড়ুন: টঙ্গীর তুরাগ তীরে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শুরু

১. আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শুক্রবারে গোসল করা প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির জন্য আবশ্যক।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৮৮৫)

২. আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) জুমুআর (শুক্রবারের) নামাজ পড়তেন যখন সূর্য হেলে পড়ত। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৮৯৪)