মিয়ানমারের ১৪ জন সীমান্তরক্ষী আশ্রয় নিলেন বাংলাদেশে

বাংলাবাজার পত্রিকা রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১:৩২ অপরাহ্ন, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | আপডেট: ৯:৩২ পূর্বাহ্ন, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সংঘাতে বিদ্রোহীদের তোপের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের ১৪ জন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য। রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের মিয়ানমারে অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সংগঠন আরাকান আর্মির তুমুল লড়াই চলছে। রোববার সকাল থেকে লাগাতার চলছে গোলাগুলি ও মর্টারশেল নিক্ষেপ। মিয়ানমারের ওপার থেকে ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছেন দুই বাংলাদেশি নাগরিক। তারা হলেন— হিন্দুপাড়ার বাসিন্দার পবীন্দ্র ধর ও এক নারী। 

আরও পড়ুন: ৪০ কেজি গাঁজাসহ বরখাস্ত পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

সীমান্তবাসী জানান, লাগাতার গোলাগুলি, মর্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেটল্যান্সার বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রুর বিস্তীর্ণ এলাকা। শুধু তাই নয়, গুলির শিষা ও রকেটল্যান্সার উড়ে এসে পড়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকায় বসতঘরের ওপর। এ ঘটনায় কোনো হতাহত না হলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। অনেকেই আতঙ্ক, উৎকণ্ঠায় নির্ঘুম রাত ঘরে বসেই কাটিয়েছেন। ভয়ে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও পারছেন না অভিভাবকরা। এ ছাড়া কৃষকরা কৃষি ক্ষেতে যেতে ও দৈনন্দিন কাজ করতেও ভয় পাচ্ছে এলাকাবাসী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, শনিবার রাত থেকে ফের গোলাগুলি হচ্ছে সীমান্তের ওপারে। মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সংঘাতের কয়েকটি গুলি এসে পড়েছে রোববার সকালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। গুলিতে দুই বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি নিরাপত্তা জোরদার করেছে। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৪ সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে।

আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে যৌথ টহল, নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী একসাথে মাঠে