সুন্দরবনের আগুন নেভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, ০৫ মে ২০২৪ | আপডেট: ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, ০৫ মে ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া এলাকায় আগুন দ্বিতীয় দিনের মত জ্বলছে। এরই মাঝে অন্তত ২ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। তবে ইতিমধ্যে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। রোববার (৫ মে) সকাল ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।

শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করতে পারেনি। এর আগে শনিবার দুপুরে স্থানীয় গ্রামবাসী ও বনরক্ষীরা বনের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি এলাকায় আগুনের কুণ্ডলী ও ধোঁয়া দেখতে পায়।

আরও পড়ুন: সাদা পাথর রক্ষায় প্রশাসনের ৫ দফা সিদ্ধান্ত

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, রোববার সকাল ৮টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট সুন্দরবনের ভোলা নদী থেকে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছে। যে সব স্থানে আগুনের ধোঁয়া ও কুণ্ডলী দেখছে সেখানে পানি ছেটানো হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি বনবিভাগ ও গ্রামবাসী আগুন নেভাতে কাজ করছে। কাছাকাছি পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে পানি আনতে হচ্ছে। আগুন পুরোপুরি না নির্বাপণ পর্যন্ত তারা কাজ করবে।

এদিকে, আগুন লাগার কারণ, কী পরিমাণ এলাকায় আগুন লেগেছে ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বনবিভাগ। চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‎পাবনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আমোরবুনিয়া টহল ফাঁড়িসংলগ্ন বনাঞ্চলে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পান তারা।

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে আগুন ঠিক কখন, কেন ও কীভাবে লেগেছে, সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু বলতে পারেনি বন বিভাগ। তারা বলছে, আগুন নিয়ন্ত্রণ এখন প্রথম কাজ।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক (বাগেরহাট) মো. সাইদুল আলম চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, আগুনের খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ ও মোংলা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন মোংলার স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়মুজ্জামান বলেন, বন বিভাগের মাধ্যমে খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ ও মোংলা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট আমরবুনিয়া এলাকায় পৌঁছেছি। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। গহীন বনে বন্যপ্রাণীর ঝুঁকি এবং সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আগুন নির্বাপণের কাজ শুরু করতে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স খুলনা  বিভাগের উপ-পরিচালক মামুন মাহমুদ বলেন, সকালে সুন্দরবনের আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৫ টি ইউনিট উপস্থিত হয়েছে। ৩টি ইউনিট কার্যক্রম শুরু করেছে। সাথে নৌবাহিনী, বন বিভাগ,  পুলিশ ও স্থানীয় প্রাশন সহায়তা করছে।