খামারের অগ্নিকাণ্ডে ১৩টি কোরবানির গরু ও সাড়ে ৩ হাজার মুরগির মৃত্যু

Any Akter
মাদারীপুর সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১:১৬ অপরাহ্ন, ১২ জুন ২০২৪ | আপডেট: ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, ০৬ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মাদারীপুরে শিবচরে উমেদপুরে মিলন মুন্সির গরুর খামারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই খামারের ১৩ টি কোরবানীর গরু  ও তারপাশের মুরগির খামার ৩হাজার ৫শত মুরগি পুড়ে মারা গেছে। এতে প্রায় ৫০লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে খামারী মিলন মুন্সি দাবি করেছেন। 

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার (১১ জুন) দিবাগত রাত ৩টায় শিবচরের উমেদপুর ইউনিয়নের কালিখোলা বাজার এলাকায় মিলন মুন্সির গরুর খামারে প্রথমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই খামারে ১৪টি গরু বাধা ছিল। আগুনের টের পেয়ে রশি কেটে দিলে একটি গরু ছুটে যায়। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়লে খামারের গরুর রশি কাটতে পারেনি খামারিরা। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এই অগ্নিকাণ্ডের কোন সুনিদৃষ্ট কারণ জানা যায়নি। তবে এলাকাবাসী ধারণা করছে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট হতে পারে। বিষয়টি নাশকতা কিনা তাও ক্ষতিয়ে দেখার ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। 

আরও পড়ুন: সাদা পাথর রক্ষায় প্রশাসনের ৫ দফা সিদ্ধান্ত


গরুর খামারের মালিক মিলন মুন্সি জানান, গত বছর আগে ক্রয় করেছি। এবছর কোরবানিতে বিক্রি করার জন্য এই গরুগুলো প্রস্তুত করা হয়েছিল। আমি অনেক কষ্ট করে তিল তিল করে গরুগুলোকে আমরা লালন পালন করেছি। 

আরও পড়ুন: ‎পাবনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার

বর্তমান বাজার মূল্যে গো খাবারের অনেক চড়া মূল্য। গো-গো খাদ্যের চাড়া মুল্যে থাকার পরও কিছুটা লাভের আশায় আমরা গরুগুলোকে লালন পালন করেছি। আজকে বিভিন্ন গরুর হাটে এই গরুগুলোকে বিক্রির জন্য নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাতেই অগ্নিকাণ্ডে গরুর খামারের ১৩ টি গরু পাশে রাখা মুরগির খামারে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মুরগি পুড়িয়ে মারা যায়। 

উমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মুন্সী জানান, গতকাল দিবাগত এদপুর ইউনিয়নের কালিখোলা বাজারে একটি গরুর খামারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ১৩ টি  গরু পুড়ে মারা গেছে। এই গরুগুলো বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির হাটে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। এছাড়া  একই ব্যাক্তির মুরগির খামারের সাড়ে ৩ হাজার বয়লার মুরগি পুড়ে মারা যায়। বিষয়টি নাশকতা না দুর্ঘটনা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তদন্তের জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।