কুড়িগ্রামে ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে মালিক-শ্রমিকের মানববন্ধন

Any Akter
কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ন, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | আপডেট: ১০:৫১ পূর্বাহ্ন, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসন কর্তৃক ইটভাটা বন্ধের প্রক্রিয়া স্থগিত করে ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে মানববন্ধন। ছবিঃ সংগৃহীত
কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসন কর্তৃক ইটভাটা বন্ধের প্রক্রিয়া স্থগিত করে ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে মানববন্ধন। ছবিঃ সংগৃহীত

কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসন কর্তৃক ইটভাটা বন্ধের প্রক্রিয়া স্থগিত করে ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে মানববন্ধন, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইট প্রস্তুতকারী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ । 

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন ইটভাটার মালিক ও শ্রমিক মিলে পাঁচ শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে সমাবেশ ও ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: সাদা পাথর রক্ষায় প্রশাসনের ৫ দফা সিদ্ধান্ত

এতে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ লুৎফর রহমান বকসী, খায়রুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, কুড়িগ্রামে তেমন শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কল কারখানা নেই। জেলায় ১০৫টি ইটভাটায় প্রায় ৫০হাজার শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে চলেছে। এসব ইটভাটা প্রায় ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে চলমান রয়েছে। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ২০১৩ সালের পরিবেশ আইন অনুযায়ী অধিকাংশ ইটভাটাকে ছাড়পত্র প্রদান না করায় এবছর সেগুলো অবৈধ ভাটা হিসেবে আখ্যায়িত হয়। অথচ সেই ভাটাগুলোর কাস্টমস ভ্যাট, আয়কর, বাণিজ্যিক হারে জমির খাজনা, বিএসটিআই, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, শ্রম অধিদপ্তর লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স বাবদ প্রতি বছর ১০/১১ লক্ষ টাকা অগ্রিম রাজস্ব দিয়ে আসছে। এ ছাড়াও ইটভাটা পরিচালনার অন্যান্য খাতের জন্য ব্যাংক ঋণ বা দায়দেনা করেছে। শ্রমিকদের অগ্রিম হিসেবে বড় অঙ্কের টাকা ৬ মাস পূর্বে প্রদান করা হয়েছে। এসময় ইটভাটাগুলো বন্ধ করলে তারা বড় ধরনের অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পড়বেন। তাদের জীবন জীবিকা ব্যাহত হয়ে পড়বে। এমতাবস্থায় মানবিক বিবেচনায় ইটভাটাগুলো  আগামী ০৩ মাস পরিচালনা করার সুযোগ দেবার জেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান। 

আরও পড়ুন: ‎পাবনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার

মানববন্ধন শেষে অংশগ্রহণকারীরা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।